ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীরা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত নয়, ব্র্যাকের গবেষণা

Print Friendly, PDF & Email

 

নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশ পাড়ি দেয়া প্রবাসী কর্মীরা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত নয় এবং ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়ানোর প্রবণতা তাদের মধ্যে নেই বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘উগ্রবাদ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবতা’ শীর্ষক এ গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়।

ব্র্যাকের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান এ গবেষনাটি করেছেন। গবেষনায় দেখা যায়, বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িত নয়।সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৪০০ জন অভিবাসীদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে গবেষক ড. সাহাব বলেন, প্রবাসে ধর্মীয় পরিচয়ের চাইতে দেশের পরিচয় দিতেই বাংলাদেশি কর্মীরা বেশি স্বস্তিবোধ করেন। এছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবাসী কর্মী তারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ের আগে বাঙালি পরিচয়টিকেই প্রাধান্য দেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ষষ্ঠ বড় জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। তাই দেশের বাইরে প্রবাসীদের ছোট নেতিবাচক ঘটনাও দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারে এবং জনশক্তি রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে উগ্রবাদ ঠেকাতে ধর্মীয় নেতারা যাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন, সেই আহ্বানও জানান তিনি।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালের শুরুতে সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আট বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, যারা স্বদেশে ফিরে হামলার ছক এঁটেছিলেন বলে দাবি করেছিল দেশটির সরকার।

তিনি বলেন, “এটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। সিঙ্গাপুর উগ্রবাদের অভিযোগে অভিবাসী ফিরিয়ে দিলে আমাদের অনেক জায়গা থেকে শুনতে হয়েছে আসলেই বাংলাদেশি প্রবাসীরা এমন কাজে জড়িত কি না। ফলে এই গবেষণাটি করা খুব দরকার ছিল। কেননা প্রবাসীদের আয় আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।“

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপপরিচালক জহুরা মনসুর ও কাউন্টার টেররিজম আন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ত্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার হাবিবুর নবী আনিসুর রশীদ প্রমুখ।

Tag :

প্রবাসীরা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত নয়, ব্র্যাকের গবেষণা

আপডেট: ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশ পাড়ি দেয়া প্রবাসী কর্মীরা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত নয় এবং ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়ানোর প্রবণতা তাদের মধ্যে নেই বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘উগ্রবাদ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবতা’ শীর্ষক এ গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়।

ব্র্যাকের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান এ গবেষনাটি করেছেন। গবেষনায় দেখা যায়, বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িত নয়।সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৪০০ জন অভিবাসীদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে গবেষক ড. সাহাব বলেন, প্রবাসে ধর্মীয় পরিচয়ের চাইতে দেশের পরিচয় দিতেই বাংলাদেশি কর্মীরা বেশি স্বস্তিবোধ করেন। এছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবাসী কর্মী তারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়ের আগে বাঙালি পরিচয়টিকেই প্রাধান্য দেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ষষ্ঠ বড় জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। তাই দেশের বাইরে প্রবাসীদের ছোট নেতিবাচক ঘটনাও দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারে এবং জনশক্তি রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে উগ্রবাদ ঠেকাতে ধর্মীয় নেতারা যাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন, সেই আহ্বানও জানান তিনি।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালের শুরুতে সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আট বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, যারা স্বদেশে ফিরে হামলার ছক এঁটেছিলেন বলে দাবি করেছিল দেশটির সরকার।

তিনি বলেন, “এটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। সিঙ্গাপুর উগ্রবাদের অভিযোগে অভিবাসী ফিরিয়ে দিলে আমাদের অনেক জায়গা থেকে শুনতে হয়েছে আসলেই বাংলাদেশি প্রবাসীরা এমন কাজে জড়িত কি না। ফলে এই গবেষণাটি করা খুব দরকার ছিল। কেননা প্রবাসীদের আয় আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।“

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপপরিচালক জহুরা মনসুর ও কাউন্টার টেররিজম আন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ত্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার হাবিবুর নবী আনিসুর রশীদ প্রমুখ।