২০১৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় বছর বন্ধ থাকায় অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশি কর্মীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু মালয়েশিয়া। গেল বছর ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে নিয়মিত কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। সেই থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই ৩ মাসে দেশটিতে গেছে ১৫ হাজার চারশ’র বেশি কর্মী এরই অংশ হিসেবে রিক্রুটিং এজেন্সি অর্ভিং এন্টারপ্রাইজের ৩০তম ফ্লাইটে মালয়েশিয়া গেল আরো ৭৯ কর্মী। দেশটির টিওয়াইকেবি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে কনস্ট্রাশন লেবার হিসেবে চাকরি নিয়ে গেছেন এই কর্মীরা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে মালয়েশিয়াগামী এই কর্মীরা ফ্লাইটের আগের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে উপস্থিত হন আর্ভিং এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে। এসময় কর্মীদের মালয়েশিয়ার স্থানীয় আইন কানুন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
স্বপ্ন বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। একইসাথে হাল ধরবেন পরিবারের। আর রিক্রুটিং এজেন্সি আর্ভি এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দিত এই কর্মীরা।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা শাহীন রহমান জানান, শ্রমবাজারটি খোলার পর এখন পর্যন্তু প্রায় ৭ হাজার কর্মীর ডিমান্ড পেয়েছেন। এরইমধ্যে ১হাজার কর্মী পাঠিয়েছে দেশটিতে। তিনি আশা করছেন, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে চলতি মাসেই আরো ১ হাজার কর্মী দেশটিতে পাঠানো সম্ভব।
আগামী ১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার নির্বাচনের কারণে শ্রমবাজারটিতে কোন প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনিঁ বলেন, করোনা পরবর্তী সময় দিন যত যাচ্ছে দেশটিতে কর্মীর চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আসন্ন নির্বাচনের কারণে শ্রমবাজারটিতে কোনো প্রভাব পড়বেনা বলে মনে করেন তিনি।
২০২১ সালের ১৯ ডিসম্বর সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর, চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়। সেই থেকে নিয়মিত কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। শুরুতে ২৫ টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর অনুমোদন পায় এরপর আরও দুই দফায় ৭৫ এজেন্সিকে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া সরকার সব মিলিয়ে এখন ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাচ্ছে দেশটিতে।
ভিডিও প্রতিবেদন: প্রবাস বার্তা চ্যানেল – পিবিসি