মালয়েশিয়ায় চলতি বছরে ১৯ হাজারেরও অধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে অভিবাসন বিভাগ। দেশটির অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯, ফাইল ছবি৯৪৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে এই বছরের অভিযানে বেশির ভাগ অভিবাসীকে আবাসিক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক, দাতুক সেরি খাইরুল জাইমি দাউদ বলেছেন, ২,৭৪৮টি আবাসিক বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে যা অন্যান্য স্থানের তুলনায় সর্বোচ্চ। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৪,৭৪৫ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তার মতে, কন্ডমিনিয়াম এবং নির্মাণ সাইটে ১,০৩০ টি অভিযান চালিয়ে ৪,৬৭৯ অভিবাসী গ্রেফতার হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে ম্যাসেজ হোম, জুয়া এবং বিনোদন কেন্দ্র, ব্যবসার জায়গা, বাজার, গাড়ি ধোয়া, নিরাপত্তা প্রহরীর স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলতি বছরে গ্রেফতার হওয়া অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ১৯,৯৪৬ জন। ৪ নভেম্বর শুক্রবার সিনার হারিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইমিগ্রেশন পরিচালক খায়রুল জায়মি দাউদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারের এই ভগ্নাংশের উপর ভিত্তি করে, ইন্দোনেশিয়ানরা সবচেয়ে বেশি ৮,৬৭৯ জন, তারপরে মিয়ানমার (২,৯৩৯), বাংলাদেশ (২,৭৬৭), থাইল্যান্ড (১,৩৯৬) এবং ভারত (১,২৬০)। বাকিরা হল ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম এবং চীনসহ অন্যান্য দেশে অভিবাসী।
এদিকে অভিবাসী ছাড়াও, অভিবাসন ২৭২ নিয়োগকর্তাকে আটক করেছে যারা অবৈধ অভিবাসীকে নিয়োগ দিয়েছিল। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
কোনো অবৈধ অভিবাসীকে রক্ষা করা বা সহানুভূতি বোধ করা জনগণের উচিত নয়। যারা অবৈধ অভিবাসীকে রক্ষা করতে পাওয়া যাবে তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৫ই এর অধীনে বিচার করা হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে ৫,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা,কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।