সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন ‘হুরুব’ বা পলাতক কর্মীদের যেকোনো জায়গায় কাজ করতে এবং কাফালা হওয়ার সুযোগ দিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। রবিবার (২৩ অক্টোবর) দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম “সৌদি গ্যাজেট” এ খবর প্রকাশ করে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে বৈধ অভিবাসীদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখা এবং নিয়োগকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক পারস্পরিক সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানায় সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদি আরবে দীর্ঘদিন যারা হুরুব বা পলাতক কিংবা অবৈধভাবে বসবাস করছেন এখন থেকে তারা যেকোনো কফিলের কাছে কাফালা বা ট্রান্সফার হয়ে বৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করতে পারবেন।। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দিয়েছে সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
শর্তগুলো হলো- ১. অবৈধভাবে বসবাসকারিকে মুয়াসসাসা অথবা শরিকার কর্মী হতে হবে। ২. কর্মীর ইকামা নবায়নের পূর্বের সকল বকেয়া ফি পরিশোধ করতে হবে। ৩. মক্তব আমেল থেকে তলব কনফার্ম করার ১৫ দিনের মধ্যে ট্রান্সফারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তবে হাউজ ড্রাইভার এবং গৃহকর্মী পেশায় কর্মরত কর্মীরা এই সুযোগের আওতার বাইরে থাকবেন বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধরা নতুন কফিলের কাছে কাফালা বা ট্রান্সফার হতে চাইলে প্রথমে অনলাইনে কিউয়া সাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদন অনুমোদন হলে সর্বোচ্চ ১৫দিন পর্যন্ত সময় পাবেন তারা। এ সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায় আগের মতোই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত হিসেবে ‘হুরুব’ বা পলাতক গণ্য হবে।
সৌদিতে যদি কোনো কর্মী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে তখন তাকে ‘হুরুব’ বা পলাতক ঘোষণা করে নিয়োগকর্তা। এরফলে দেশটিতে অবৈধ হয়ে পরেন এই কর্মীরা। পরে অবৈধ হওয়ার কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এরইমধ্যে অসংখ্যা বাংলাদেশি প্রবাসী অবৈধ হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন দেশটিতে। তবে সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের হুরুব বাতিলের এই খরবে আশার আলো দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশি।