মালয়েশিয়া শ্রমবাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে দেশটি। চলতি বছরের ৮ আগষ্ট প্রথম ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হলেও নিয়মিত কর্মী যাওয়া শুরু হয় সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে। প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইটে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এরই অংশ হিসেবে রিক্রুটিং এজেন্সি সরকার ইন্টারন্যাশনালের ৭ম ফ্লাইটে মালয়েশিয়া গেল আরো ১২ কর্মীর একটি দল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজলাল আন্তর্জাতিক বিানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন এই কর্মীরা।
মালয়েশিয়ার টিওয়াইকেবি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কন্সট্রাকশন সেকশনে লেবার হিসেবে এই কর্মীরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি সরকার ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মোহাম্মদ আলী সরকার।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার টিওয়াইকেবি কোম্পানির ৬৫০ কর্মীর ডিমান্ড পেয়েছে তার এজেন্সি। এরই মধ্যে ২৫০ কর্মী প্রেরণ করেছেন কোম্পানিটিতে। আরো জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আরো ৩ থেকে ৪টি ফ্লাইটে বাকি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সরকার ইন্টারন্যাশনালের কার্যালয়ে এই কর্মীদের প্রি-ডিপার্চার ব্রিফ করেন প্রিতিষ্ঠানটির কর্নধার মোহাম্মদ আলী সরকার। এসময় তিনি কর্মীদের মালয়েশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন। সেইসাথে দেশটির আইন-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানান। পরে কর্মীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করেন।
এদিকে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরা বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে কম খরচে সকল কাজ শেষে দেশটিতে যেতে পেরে আনন্দিত তারা। এজন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারের সকলকে ধন্যবাদ জানান এই কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৮ আগষ্ট প্রথম ফ্লাইটে ৫৩ কর্মীর প্রথম দল মালয়েশিয়ায় যায়। এর মাধ্যমে ৪ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়া শুরু হয় । এর আগে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) সই হয়। এরপর ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।