চলতি বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিনই সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে একাধিক ফ্লাইটে মালোয়েশিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা। এরই ধারাহিকতায় বিএম ট্রাভেল্স’র ৬৫ কর্মীর আরও একটি ফ্লাইট গেল দেশটিতে। মালয়েশিয়ার চায়না কমিউনিকেশন কোম্পানিতে কন্সট্রাকশন লেবার হিসেবে কাজ করবেন এই কর্মীরা।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করে এই কর্মীরা।
বিএম ট্রাভেলসের এক কর্মকর্তা জানান, চায়না কমিউনিকেশন কোম্পানি থেকে ১ হাজার কর্মীর ডিমান্ড পেয়েছেন তারা। তবে বুধবার রাতে ১০ম ফ্লাইটে ৬৫ কর্মী প্রেরণের মধ্যে দিয়ে কোম্পানিটিতে এখন পর্যন্ত ৬’শ ৩৭ কর্মী পাঠাতে তাদের এজেন্সি সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তায় আরো ২’শ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন তারা। তিনি আশা করছেন, দেশটিতে কর্মী পাঠানোর চলমান গতি অব্যাহত থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে চায়না কমিউনিকেশন কোম্পানির ১ হাজার কর্মীর ডিমান্ড পূরণ করতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সি বিএম ট্রাভেলস।
এর আগে মঙ্গলবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএম ট্রাভেলস এর কার্যালয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন কর্মীরা। এসময় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মীদের মালয়েশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন। সেইসাথে দেশটির আইন-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানান। পরে কর্মীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কম খরচে সকল কাজ শেষে দেশটিতে যেতে পেরে আনন্দিত তারা। এজন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারের সকলকে ধন্যবাদ জানান এই কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৮ আগষ্ট প্রথম ফ্লাইটে ৫৩ কর্মীর প্রথম দল মালয়েশিয়ায় যায়। এর মাধ্যমে ৪ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়া শুরু হয় । এর আগে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) সই হয়। এরপর ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।