মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর চতুর্থ দিনের দুটি ফ্লাইটে গেছেন ৪৯ জন | তাদের মধ্যে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের প্রথম ফ্লাইট ছিলো এই রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে গেছেন ৩৪ কর্মী মোট ৩৫ কর্মী যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ সময়ে এসে একজনের নিকট আত্মীয় মারা যাওয়ায় তিনি শিডিউল ফ্লাইটে যেতে পারেননি তাকে পরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত ১১ টায় একটি ফ্লাইটে এই কর্মীরা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কর্মীরা। বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা। মালয়েশিয়ার জহুর প্রদেশে একটি ফার্নিচার কারখানায় চাকরি নিয়ে এই কর্মীরা দেশটিতে যাচ্ছেন।
কর্মীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করেছে রিক্রুটিং এজেন্সি ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেড। চার বছর পর মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী হিসেবে যেতে পেরে খুশি তারা। এজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা।
কর্মীদের বিদায় জানানোর সময় ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের এজিএম মাসুদুল ইসলাম প্রবাস বার্তাকে জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চাহিদাপত্র সত্যায়ন, মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতি ও বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়ায় কর্মীরা কম সময়ে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন। মন্ত্রণালয়ের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে কম সময়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়াতে পাঠানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এই কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসে আরো কয়েকটি ফ্লাইট রয়েছে তাদের। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইটে কর্মী পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের এই কর্মকর্তা।
একই রাতে গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ লিমিটেডের ১৫ কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগেও এই রিক্রুটিং এজেন্সির একটি ফ্লাইটে ৩০ কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন।
এর আগে ৮ আগষ্ট ৫৩ কর্মী পাঠানোর মধ্যদিয়ে নতুন সমঝোতা স্মারকের অধিনে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হয় এর মাধ্যমে ৪ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও উন্মুক্ত হয় মালয়েশিয়া শ্রমবাজার। ৮ আগস্টের পর ২২ আগস্ট থেকে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইটে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো হচ্ছে
২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হওয়ার পর গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্বারক সই হয় । এরপর চলতি বছরের ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরী এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ শ্রমবাজার চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ২৪ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য ২০ টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগ অনুমতি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।