সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের জন্য নতুন আইন সংস্কার করলো দেশটির সরকার। ভিশন ২০৩০ এর আওতায় এই আইন সংস্কার করা হয়।
নতুন আইনে গৃহকর্মীরা মালিকের অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিভাগের প্রেসিডেন্ট ড. আওয়াদ আলাওয়াদ। আইনের এই পরিবর্তনের ফলে অন্যান্য আরো সুযোগ সুবিধা পাবেন সৌদিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
সৌদি আরবে বছরের পর বছর নানা ভাবে নির্যাতিত হওয়ার পরে দেশটির পুরাতন শ্রম আইনের ফলে একই বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য হতেন কর্মীরা । নিয়োগকর্তা কর্মীর অনুমতি ছাড়াই মালিকানা পরিবর্তন করতেন। নতুন আইনে কর্মীর মালিকনা পরিবর্তন করতে চাইলে নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই কর্মীর অনুমতি নিতে হবে। নিয়োগকর্তা যদি কর্মীর অনুমতি ছাড়া মালিকানা পরিবর্তন করে এবং চাকরির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে চাকরি চ্যুত বা চুক্তি বাতিল করে তাবে নিয়োগকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে ।
এছাড়া কর্মীকে বেতন- ভাতা সময়মত না দিলে ও বিপদজ্জনক কাজ করালে কর্মী নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। যথার্থ প্রমান পেলে নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথার্থ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিভাগ।
সৌদি আরবে নারী কর্মীদের নির্যাতনের খবর বিভিন্ন সময় পত্রিকার হেডলাইন হতে দেখা যায়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কর্মীরা নানা ভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত। । বাংলাদেশ থেকে গেল ৬ মাসে সৌদি যাওয়া নারী কর্মীদের মধ্য ৮০ ভাগ নারীই নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে এসেছে। শ্রম আইনের এই পরিবর্তনের ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে ধারণা সৌদি প্রবাসীদের।