ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: ৫৩ কর্মীকে স্বাগত জানালেন হাইকমিশনার

Print Friendly, PDF & Email

 

২০১৮ সালের সেপ্টম্বর থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধের ৪ বছর পর প্রথমবারের মতো ৫৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) মালয়েশিয়া সময় সকাল সোয়া ১০ টায় বিমান বন্দরে (কেএলআইএ) তাদেও স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়র।

৮ আগষ্ট সোমবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ কে ৭০ ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা এ ৫৩ জন কর্মী। ভোর সাড়ে ৫ টায় মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্টানিক কার্যক্রম শেষে হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাগত জানান। এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের আনুষ্টানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উম্মোক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নবাগত কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার বলেন, দেশের সম্মান বজায় রেখে, মালয়েশিয়ার আইনকানুন মেনে কাজ করবেন। হাইকমিশন আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন, মিনিষ্টার শ্রম মো নাজমুস সাদাত সেলিম এবং মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা। এ সময় হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার হাইকমিশনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী কর্মীদের হাতে তুলে দেন।

নতুন কর্মীরা বলেন, আমরা মালয়েশিযা এসেছি। দেশের সম্মান বজায় রেখে যাতে কাজ করতে পারেন প্রবাসী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা। বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রম বাজার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। পরে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিযার শ্রমবাজার বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালায়।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের নামে মন্ত্রণালয় ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগ অনুমতি দেয়। এ পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।

নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানিতে নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য রোববার আবেদন করলে সেদিনই ৫৩ জন কর্মীর অনুকূলে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: ৫৩ কর্মীকে স্বাগত জানালেন হাইকমিশনার

আপডেট: ০২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

২০১৮ সালের সেপ্টম্বর থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধের ৪ বছর পর প্রথমবারের মতো ৫৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) মালয়েশিয়া সময় সকাল সোয়া ১০ টায় বিমান বন্দরে (কেএলআইএ) তাদেও স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়র।

৮ আগষ্ট সোমবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ কে ৭০ ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা এ ৫৩ জন কর্মী। ভোর সাড়ে ৫ টায় মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্টানিক কার্যক্রম শেষে হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাগত জানান। এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের আনুষ্টানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উম্মোক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নবাগত কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার বলেন, দেশের সম্মান বজায় রেখে, মালয়েশিয়ার আইনকানুন মেনে কাজ করবেন। হাইকমিশন আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন, মিনিষ্টার শ্রম মো নাজমুস সাদাত সেলিম এবং মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা। এ সময় হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার হাইকমিশনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী কর্মীদের হাতে তুলে দেন।

নতুন কর্মীরা বলেন, আমরা মালয়েশিযা এসেছি। দেশের সম্মান বজায় রেখে যাতে কাজ করতে পারেন প্রবাসী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা। বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রম বাজার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। পরে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিযার শ্রমবাজার বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালায়।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের নামে মন্ত্রণালয় ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগ অনুমতি দেয়। এ পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।

নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানিতে নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য রোববার আবেদন করলে সেদিনই ৫৩ জন কর্মীর অনুকূলে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।