ঢাকা , রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে সফল এক উদ্যোগ ‘জীবন বীমা’: মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের নজরদারিতে বিএমইটি, পরিব‍র্তনের চ্যালেঞ্জে নতুন মহাপরিচালক ২০২৪ সালে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি অনলাইনে কর্মীদের সাথে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে দুবাই কন্স্যুলেটের অনুরোধ কর্মী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশের হার উদ্বেগজনক, ‘অ্যান্ডি হল’ ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

প্রবাসীদের সেবায় জেদ্দা কনস্যুলেটের টিম আবহা খামিস শহরে

Print Friendly, PDF & Email

 

প্রবাসীদের কাছে গিয়ে সেবা দিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শুক্র ও শনি) আবহা খামিস শহরে অবস্থান করছে জেদ্দা কনস্যুলেটের প্রতিনিধি দল। প্রবাসীদের সেবা দিতে কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হকের নেতৃত্বে জেদ্দা কনস্যুলেটের প্রতিনিধি দল আবহা খামিস শহরে অবস্থান করছেন।  দূতালয় প্রধান আজিজুর রহমান, প্রথম সচিব আরিফুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ আরো প্রায় ১৫ জনের টিম প্রবাসীদের নানারকম সেবা দিয়ে যাবেন।

২ দিন অবস্থানকালে সন্ধ্যা নাগাদ কনস্যুলার সেবা প্রদানের পর শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর (শ্রম)-এর নির্দেশনায় দুই দিনই সন্ধ্যার পর শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থানরত প্রবাসীদের আবাসস্থল পরিদর্শনসহ আবহা খামিসের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগিদের খোঁজ খবর নিবেন। সন্ধ্যায় প্রথম সচিব মোঃ আরিফুজ্জাান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা সমাধান করবেন মর্মে সূত্র জানিয়েছে।

প্রবাসীদের দোড়গোড়ায় ও তৃণমূল পর্যায়ে কনস্যুলার সেবা পৌঁছানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল-এর অধিক্ষেত্রে সৌদি আরবের সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল অবস্থিত। ধারণা করা হয় এ অধিক্ষেত্রে প্রায় ছয় লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। পশ্চিমাঞ্চলের চৌদ্দটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন।

এমন একটি শহর আবহা খামিস জেদ্দা শহর হতে আনুমানিক৯০০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। দূর দূরান্ত থেকে কর্ম দিবসে জেদ্দা শহরে এসে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ প্রবাসীদের জন্য কষ্ট সাধ্য, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় বহুল। এমনকি প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণের সময়ে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সাথে নিয়োগকর্তার নিকট হতে কাঙ্খিত ছুটি পাওয়াও কঠিন হয়ে থাকে। ফলে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হন অনেকেই।

এমন পরিস্থিতিতে আবহা খামিস শহরে অবস্থানরত প্রবাসীদের দোড়গোড়ায় ও তৃণমূল পর্যায়ে কনস্যুলেটের সেবা কার্যক্রম পৌঁছে দিচ্ছে জেদ্দা কনস্যুলেট। সেবুগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাসপোর্ট ডেলিভারি, নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ, বিভিন্ন ডকুমেন্ট সত্যায়ন, শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করার মুসাবিদা প্রস্তুত, শরিয়া আদালতে মামলা দায়ের করার কাগজপত্র প্রস্তুত ও সত্যায়ন, আইনগত সহায়তা/পরামর্শ প্রদান, সৌদি আরবের শ্রম আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য নিবন্ধন, সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় হিসাব খোলা, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ, বৈধ পথে রেমিট্যান্সের বিষয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ ইত্যাদি।

সেবাগুলো সরাসরি পৌঁছানোর লক্ষ্যে এবং Less visit, Less time I Less Cost -এর ভিত্তিতে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিবসে (শুক্র ও শনি) আবহা খামিস শহরে কনস্যুলার টীমের মাধ্যমে উক্ত সেবাসমূহ ঐ স্থানে অবস্থানরত প্রবাসীদেরকে দেয়া হয়।

এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ শহরে অবস্থান করে ছুটির দিনেই তাদের কাঙ্খিত সেবাটি পেয়েছেন। এতে তাদেরকে দূর দূরান্ত হতে জেদ্দা শহরে যাতায়াত করতে হয়নি, নিয়োগকর্তার কাছ হতে ছুটি গ্রহণ করতে হয়নি, দীর্ঘ দূরত্বের জন্য যাতায়ত ব্যয় বহন করতে হয়নি – যা তাদের কাছে সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস

প্রবাসীদের সেবায় জেদ্দা কনস্যুলেটের টিম আবহা খামিস শহরে

আপডেট: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

প্রবাসীদের কাছে গিয়ে সেবা দিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শুক্র ও শনি) আবহা খামিস শহরে অবস্থান করছে জেদ্দা কনস্যুলেটের প্রতিনিধি দল। প্রবাসীদের সেবা দিতে কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হকের নেতৃত্বে জেদ্দা কনস্যুলেটের প্রতিনিধি দল আবহা খামিস শহরে অবস্থান করছেন।  দূতালয় প্রধান আজিজুর রহমান, প্রথম সচিব আরিফুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ আরো প্রায় ১৫ জনের টিম প্রবাসীদের নানারকম সেবা দিয়ে যাবেন।

২ দিন অবস্থানকালে সন্ধ্যা নাগাদ কনস্যুলার সেবা প্রদানের পর শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর (শ্রম)-এর নির্দেশনায় দুই দিনই সন্ধ্যার পর শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থানরত প্রবাসীদের আবাসস্থল পরিদর্শনসহ আবহা খামিসের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগিদের খোঁজ খবর নিবেন। সন্ধ্যায় প্রথম সচিব মোঃ আরিফুজ্জাান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা সমাধান করবেন মর্মে সূত্র জানিয়েছে।

প্রবাসীদের দোড়গোড়ায় ও তৃণমূল পর্যায়ে কনস্যুলার সেবা পৌঁছানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল-এর অধিক্ষেত্রে সৌদি আরবের সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল অবস্থিত। ধারণা করা হয় এ অধিক্ষেত্রে প্রায় ছয় লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। পশ্চিমাঞ্চলের চৌদ্দটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন।

এমন একটি শহর আবহা খামিস জেদ্দা শহর হতে আনুমানিক৯০০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। দূর দূরান্ত থেকে কর্ম দিবসে জেদ্দা শহরে এসে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ প্রবাসীদের জন্য কষ্ট সাধ্য, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় বহুল। এমনকি প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণের সময়ে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সাথে নিয়োগকর্তার নিকট হতে কাঙ্খিত ছুটি পাওয়াও কঠিন হয়ে থাকে। ফলে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হন অনেকেই।

এমন পরিস্থিতিতে আবহা খামিস শহরে অবস্থানরত প্রবাসীদের দোড়গোড়ায় ও তৃণমূল পর্যায়ে কনস্যুলেটের সেবা কার্যক্রম পৌঁছে দিচ্ছে জেদ্দা কনস্যুলেট। সেবুগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাসপোর্ট ডেলিভারি, নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ, বিভিন্ন ডকুমেন্ট সত্যায়ন, শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করার মুসাবিদা প্রস্তুত, শরিয়া আদালতে মামলা দায়ের করার কাগজপত্র প্রস্তুত ও সত্যায়ন, আইনগত সহায়তা/পরামর্শ প্রদান, সৌদি আরবের শ্রম আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য নিবন্ধন, সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় হিসাব খোলা, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ, বৈধ পথে রেমিট্যান্সের বিষয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ ইত্যাদি।

সেবাগুলো সরাসরি পৌঁছানোর লক্ষ্যে এবং Less visit, Less time I Less Cost -এর ভিত্তিতে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিবসে (শুক্র ও শনি) আবহা খামিস শহরে কনস্যুলার টীমের মাধ্যমে উক্ত সেবাসমূহ ঐ স্থানে অবস্থানরত প্রবাসীদেরকে দেয়া হয়।

এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ শহরে অবস্থান করে ছুটির দিনেই তাদের কাঙ্খিত সেবাটি পেয়েছেন। এতে তাদেরকে দূর দূরান্ত হতে জেদ্দা শহরে যাতায়াত করতে হয়নি, নিয়োগকর্তার কাছ হতে ছুটি গ্রহণ করতে হয়নি, দীর্ঘ দূরত্বের জন্য যাতায়ত ব্যয় বহন করতে হয়নি – যা তাদের কাছে সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করেছে।