মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ অনেক কষ্ট করছেন বলে মন্তব্য করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় কতো সংখ্যক কর্মী যাবে এ বিষয়েও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী অনেক দেনদরবার করেছেন।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সফর শেষে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে শ্রমবাজারের বেশ কিছু ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়। সাংবাদিকদের বৈঠকের বিস্তারিত জানান ড. একে আব্দুল মোমেন।
মালয়েশিয়া শ্রমবজারে কর্মী পাঠাতে ২৫ টি রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট ইস্যুতে ড. মোমেন বলেন, “আমরা তো সকল রিক্রুটিং এজেন্সির নাম দিয়ে দিয়েছি। আমরা চাই ওপেন, ফ্রি এবং কোন সিন্ডিকেট হবে না। বাংলাদেশের এই অবস্থান। আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এ নিয়ে অনেক দেনদরবার করেছেন। আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চাই, এজন্য।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা বলছেন এতোগুলো এজেন্সি থেকে লোক নিলে, ব্যবস্থাপনা সমস্যা হতে পারে। সেজন্য তারা নির্ধারণ করেছেন। আমরা বলেছি, আপনারা যেভাবে নির্ধারণ করবেন, আপনারা সেইভাবে করেন। শুধু আমাদের কর্মীদের সুরক্ষাটা নিশ্চিত করবেন।”
তাহলে কি বাংলাদেশ ২৫ এজেন্সিতে রাজি ? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা তো নিবে আমাদের। তারা যেটা ভালো হয়, তাদের জন্য যেটা সুবিধা হবে, সেটা তারা নিশ্চয়ই করবে। সেটাতে আমাদের আপত্তি নেই।”
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন কবে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হবে। জবাবে ড. একে আব্দুল মোমেন জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হবে।
এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের কর্মীদের সুরক্ষা বা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়ে অনুরোধ জানান একে আব্দুল মোমেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু বাংলাদেশের কর্মীদেরই নয়, সকল দেশের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন করা হয়েছে।