ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া শ্রমবাজার: ১৩ ও ১৪ জুলাই মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ছবি- প্রবাস বার্তা

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর কিছু কারিগরি বিষয়ের সমাধানের জন্য ১৩ ও ১৪ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ১৩ জুলাই মালয়েশিয়ার অনলাইন পদ্ধতি এফডব্লিউসিএমএস এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ। পরদিন মেডিকেল সেন্টার চুড়ান্ত করার বিষয়ে গঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির সাথে বৈঠক হবে। এই দুই বৈঠকের পর মালয়েশিয়া কর্মী যাওয়ার বিষয়ে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

চলতি বছরের ২ জুন ঢাকায় মালয়েশিয়ার সাথে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সেদিনই জানানো হয়, জুন মাসেই দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হবে। এরপর ১১ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরেক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ একই আশ্বাস দেন। বলেন, জুন মাসেই কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ছুটির দিনেও কাজ করছেন তাঁরা।

কিন্তু জুন মাসে কর্মী পাঠানো তো দূরের কথা, বাংলাদেশে মেডিকেল সেন্টার চূড়ান্ত করার জন্য পরিদর্শনই শেষ করতে পারেনি এ সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি। এমনকি ঈদুল আযহা’র ছুটির আগ পর্যন্ত আবেদন করা প্রায় ৭০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০ টি মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা।

মেডিকেল সেন্টারের সাথে ঝুলে আছে মালয়েশিয়ার অনলাইন পদ্ধতি বাংলাদেশে যুক্ত করার বিষয়টিও।  চলতি মাসে মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠক হলেও মালয়েশিয়ার এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি ঢাকায়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ আশা করছেন, ১৪ তারিখের মধ্যেই মালয়েশিয়ার বিষয়ে সমাধান আসবে। তিনি বলেন, কর্মী যাওয়া শুরু হলেও কারিগরি কাজ তো চলতেই থাকবে। শিগগিরই কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলেও আশা করেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এদিকে ৬ জুলাই মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ঘোষণা করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। তবে তা কার্যকরে সঠিক কোন নীতিমালা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। মন্ত্রী জানান, নীতিমালা চুড়ান্ত করে তা জানানো হবে। আর গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব বলেও জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হওয়ার ৪০ মাস পর গেলো বছরের ১৯ ডিসেম্বর দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারক সই হয়। এর পর ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

Tag :

মালয়েশিয়া শ্রমবাজার: ১৩ ও ১৪ জুলাই মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

আপডেট: ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর কিছু কারিগরি বিষয়ের সমাধানের জন্য ১৩ ও ১৪ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ১৩ জুলাই মালয়েশিয়ার অনলাইন পদ্ধতি এফডব্লিউসিএমএস এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ। পরদিন মেডিকেল সেন্টার চুড়ান্ত করার বিষয়ে গঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির সাথে বৈঠক হবে। এই দুই বৈঠকের পর মালয়েশিয়া কর্মী যাওয়ার বিষয়ে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

চলতি বছরের ২ জুন ঢাকায় মালয়েশিয়ার সাথে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সেদিনই জানানো হয়, জুন মাসেই দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হবে। এরপর ১১ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরেক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ একই আশ্বাস দেন। বলেন, জুন মাসেই কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ছুটির দিনেও কাজ করছেন তাঁরা।

কিন্তু জুন মাসে কর্মী পাঠানো তো দূরের কথা, বাংলাদেশে মেডিকেল সেন্টার চূড়ান্ত করার জন্য পরিদর্শনই শেষ করতে পারেনি এ সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি। এমনকি ঈদুল আযহা’র ছুটির আগ পর্যন্ত আবেদন করা প্রায় ৭০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০ টি মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা।

মেডিকেল সেন্টারের সাথে ঝুলে আছে মালয়েশিয়ার অনলাইন পদ্ধতি বাংলাদেশে যুক্ত করার বিষয়টিও।  চলতি মাসে মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠক হলেও মালয়েশিয়ার এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি ঢাকায়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ আশা করছেন, ১৪ তারিখের মধ্যেই মালয়েশিয়ার বিষয়ে সমাধান আসবে। তিনি বলেন, কর্মী যাওয়া শুরু হলেও কারিগরি কাজ তো চলতেই থাকবে। শিগগিরই কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলেও আশা করেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এদিকে ৬ জুলাই মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ঘোষণা করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। তবে তা কার্যকরে সঠিক কোন নীতিমালা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। মন্ত্রী জানান, নীতিমালা চুড়ান্ত করে তা জানানো হবে। আর গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব বলেও জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হওয়ার ৪০ মাস পর গেলো বছরের ১৯ ডিসেম্বর দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারক সই হয়। এর পর ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।