মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের কারিগরি বিষয়ে সহযোগিতার জন্য দেশটির একটি আইটি বিশেষজ্ঞ টিম এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। মালয়েশিয়া সরকারের বিদেশি কর্মী নিয়োগের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতি ‘ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম – এফডব্লিউসিএমএস এর আইটি বিশেষজ্ঞরা এই সহযোগিতা দিবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটিতে এফডব্লিউসিএমএস এর সংযোগ দেয়া হবে।
সোমবার (৪ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে দেখা করেছেন টিমের সদস্যরা। এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি ঢাকায় কিভাবে কাজ করবে ও মন্ত্রণালয় সেই পদ্ধতির কতটুকু ব্যবহার করতে পারবে সেই বিষয়ে সচিবকে অবহিত করেন এফডব্লিউসিএমএস এর আইটি বিশেষজ্ঞরা। এপর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটির কর্মকর্তাদের অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে ব্রিফ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে আরেকদফা ব্রিফ করবেন মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা। এর পর মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
এর আগে রবিবার (৩ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও বিএমইটির মহাপরিচালকের কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব গাজী মো. শাহেদ আনোয়ার সই করা চিঠিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে একটি নোটভারবাল (সরকারি চিঠি) দেয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য হাইকমিশন ও বিএমইটিতে এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি সংযুক্ত করতে বলা হয়। এরপর থেকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা ঢাকায় অবস্থান করছেন।
২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হওয়ার ৪০ মাস পর গেলো বছরের ১৯ ডিসেম্বর দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারক সই হয়। এর পর ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।