ঢাকা , রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে সফল এক উদ্যোগ ‘জীবন বীমা’: মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর কা‍র্যালয়ের নজরদারিতে বিএমইটি, পরিব‍র্তনের চ্যালেঞ্জে নতুন মহাপরিচালক ২০২৪ সালে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি অনলাইনে কর্মীদের সাথে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে দুবাই কন্স্যুলেটের অনুরোধ কর্মী ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদন্ড থেকে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশের হার উদ্বেগজনক, ‘অ্যান্ডি হল’ ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা

মালয়েশিয়ায় ভিসা জালিয়াতি: মাষ্টারমাইন্ড বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬

Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের বৈধতা দেয়ার নামে ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জনে বাংলাদেশিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

শুক্রবার (১০ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিবাসন বিভাগের মহা মরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ। বুধবার (৮ জুন) রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।

মালয়েশিয়ায় চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) থেকে এ সিন্ডিকেট অর্থ উপার্জন করেছে। সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারি বাংলাদেশি যার বয়স ৪২ বছর তিনি মালয়েশিয়ার একজন স্থায়ী বাসিন্দা (মাইপিআর)। বাংলাদেশি ঐ ব্যাক্তি এই অবৈধ কার্যকলাপ করে দুই মিলিয়নেরও বেশি অর্থ আয় করেছে বলে ধারনা করছে অভিবাসন বিভাগ।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল দাজাইমি দাউদ বলেন, ৮ জুন কুয়ালালামপুরের জালান লুমুত এবং আমপাংয়ের পান্ডান জায়াতে অপ খাসের অধীনে গোয়েন্দা ও বিশেষ শাখার মাধ্যমে দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। জালান লুমুতে বাংলাদেশি ঐ ব্যাক্তির স্ত্রীসহ একজন মালয়েশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারি বাংলাদেশি ব্যাক্তিকে  ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাইপিআর স্ট্যাটাস (অনুমতি) দেওয়া হয়েছিল।

জানা যায়, এই সিন্ডিকেটকারি অবৈধ ভাবে একটি নির্মাণ সংস্থা এবং একটি অবৈধ কর্মসংস্থান সংস্থা স্থাপন করে, ২০২১ সালে চালু হওয়া আরটিকে প্রোগ্রামে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন শুরু করে।দুই মাসের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে, নির্মাণ সংস্থাটি ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং রিক্যালিব্রেসি প্রেগ্রামের অধীনে বিদেশী কর্মীদের প্রতি আবেদনের জন্য ৩,৫০০ থেকে ৪,২০০ এর মধ্যে চার্জ করে এজেন্ট হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দ্বিতীয় অভিযানে (পান্ডান জায়াতে) একজন ৩৬ বছর বয়সী স্থানীয় মহিলা এবং তার স্বামী, একজন বাংলাদেশী, মালয়েশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাসধারী ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া আরোও দুজন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা কোম্পানি এবং গ্রাহকদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে আসছিল।

দুটি অভিযানে, বাংলাদেশের ৪৫৭, ইন্দোনেশিয়ার ৮, ভারতের ৮, পাকিস্তানের ৮, মিয়ানমারে ৬ এবং নেপালের ১ টি পাসপোর্ট সহ মোট ৪৮৮টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে ১২টি কোম্পানির সিল, দুটি কম্পিউটারের সেট এবং নগদ ৩৮,৩০৮ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। আরোপকৃত ফি এবং জব্দ করা পাসপোর্টের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই সিন্ডিকেটটি ২ মিলিয়নেরও বেশি উপার্জন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গ্রেফতারকৃতদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৫ এর পাশাপাশি পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ধারা ১২(১)(এফ) এর অধীনে আরও তদন্ত করা হবে। এমনটিই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অভিবাসন বিভাগের মহা পরিচালক।

Tag :
জনপ্রিয়

বাহরাইনে অবৈধদের গ্রেফতার অভিযান, প্রবাসীদের সতর্ক করল দূতাবাস

মালয়েশিয়ায় ভিসা জালিয়াতি: মাষ্টারমাইন্ড বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬

আপডেট: ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের বৈধতা দেয়ার নামে ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জনে বাংলাদেশিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

শুক্রবার (১০ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিবাসন বিভাগের মহা মরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ। বুধবার (৮ জুন) রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।

মালয়েশিয়ায় চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) থেকে এ সিন্ডিকেট অর্থ উপার্জন করেছে। সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারি বাংলাদেশি যার বয়স ৪২ বছর তিনি মালয়েশিয়ার একজন স্থায়ী বাসিন্দা (মাইপিআর)। বাংলাদেশি ঐ ব্যাক্তি এই অবৈধ কার্যকলাপ করে দুই মিলিয়নেরও বেশি অর্থ আয় করেছে বলে ধারনা করছে অভিবাসন বিভাগ।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল দাজাইমি দাউদ বলেন, ৮ জুন কুয়ালালামপুরের জালান লুমুত এবং আমপাংয়ের পান্ডান জায়াতে অপ খাসের অধীনে গোয়েন্দা ও বিশেষ শাখার মাধ্যমে দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। জালান লুমুতে বাংলাদেশি ঐ ব্যাক্তির স্ত্রীসহ একজন মালয়েশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারি বাংলাদেশি ব্যাক্তিকে  ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাইপিআর স্ট্যাটাস (অনুমতি) দেওয়া হয়েছিল।

জানা যায়, এই সিন্ডিকেটকারি অবৈধ ভাবে একটি নির্মাণ সংস্থা এবং একটি অবৈধ কর্মসংস্থান সংস্থা স্থাপন করে, ২০২১ সালে চালু হওয়া আরটিকে প্রোগ্রামে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন শুরু করে।দুই মাসের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে, নির্মাণ সংস্থাটি ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং রিক্যালিব্রেসি প্রেগ্রামের অধীনে বিদেশী কর্মীদের প্রতি আবেদনের জন্য ৩,৫০০ থেকে ৪,২০০ এর মধ্যে চার্জ করে এজেন্ট হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দ্বিতীয় অভিযানে (পান্ডান জায়াতে) একজন ৩৬ বছর বয়সী স্থানীয় মহিলা এবং তার স্বামী, একজন বাংলাদেশী, মালয়েশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাসধারী ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া আরোও দুজন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা কোম্পানি এবং গ্রাহকদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে আসছিল।

দুটি অভিযানে, বাংলাদেশের ৪৫৭, ইন্দোনেশিয়ার ৮, ভারতের ৮, পাকিস্তানের ৮, মিয়ানমারে ৬ এবং নেপালের ১ টি পাসপোর্ট সহ মোট ৪৮৮টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে ১২টি কোম্পানির সিল, দুটি কম্পিউটারের সেট এবং নগদ ৩৮,৩০৮ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। আরোপকৃত ফি এবং জব্দ করা পাসপোর্টের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই সিন্ডিকেটটি ২ মিলিয়নেরও বেশি উপার্জন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গ্রেফতারকৃতদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৫ এর পাশাপাশি পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ধারা ১২(১)(এফ) এর অধীনে আরও তদন্ত করা হবে। এমনটিই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অভিবাসন বিভাগের মহা পরিচালক।