আবারো পিছিয়ে গেল মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অভিবাসন ব্যয় বা খরচসহ বিস্তারিত পদ্ধতির ঘোষণা।
২ জুন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রূপের বৈঠকে শ্রমবাজারটি চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
সেদিনই জানানো হয়েছিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন খরচসহ অন্যান্য কারিগরি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (৮ জুন) রাতে প্রবাস বার্তাকে মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৯-১০ জুন) সংসদে বাজেট অধিবেশন থাকায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার বিস্তারিত পদ্ধতির ঘোষণা চলতি সপ্তাহে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একইসাথে তিনি আরো জানান, বাজেট অধিবেশনে তার প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকায় এ সপ্তাহে অভিবাসন ব্যয়ের বিষযে ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে সবকিছু চুড়ান্ত করে কর্মী যাওয়ার পদ্ধতি ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো জানান, যেহেতু এই প্রক্রিয়ার সাথে দুই দেশসহ বেশ কয়েকটি পক্ষ সম্পৃকক্ত তাই কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে সবকিছু যাচাই বাছাই করছে মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বাজেট অধিবেশনের ব্যস্ততা শেষে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার বিস্তারিত পদ্ধতির ঘোষণা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে আসতে পারে। অর্থাৎ জুনের ১২ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে ঘোষণা আসতে পারে। এমনটাই জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গেল বছরের ডিসেম্বরে সমঝোতা সই হয় দুপক্ষের মধ্যে। এরপরও কারিগরি বিষয়গুলো স্পষ্ট না থাকায় এখনো দেশটিতে কর্মী প্রেরণ সম্ভব হয়নি।
তবে গেল ২ জুন বাংলাদেশ- মালয়েশিয়া মধ্যকার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রূপের বৈঠকের পর দেশটির শ্রমবাজার পুনঃরায় চালুর ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তখন তিনি জানিয়েছিলেন দেশটিতে কর্মী যাওয়ার বিস্তারিত পদ্ধতি অর্থাৎ মেডিক্যাল কবে থেকে শুরু হবে, কত খরচ হবে, অভিবাসন ব্যয় কত হবে, কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে এসকল বিষয়ে বিস্তারিত পদ্ধতির ঘোষণা চলতি সপ্তাহে আসবে। তবে তা আবারো পিছিয়ে গেল। এক্ষত্রে কর্মীদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটি দিন।