করোনা মহামারির সময়ে দেশে আসার পর যারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বাহরাইনে ফায়ার যেতে পারেননি তাঁদের মধ্যে ১৬১ জনকে বাহরাইনে প্রবেশে অনুমোতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার ( ৮ জুন) বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রসারিত এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির সময় ২ থেকে ৩ হাজার কর্মী বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পরেন ভিসার মেয়াদ শেষ হওার কারণে। বাহরাইন সরকার করোনার পর নতুন ভিসা না দেয়ায় কর্মীরা নতুন ভিসা নিয়ে আসতেও পারছেন না। এরপর দুতাবাসের ফেসবুক পেইজে বাংলাদেশে আটকে পরা কর্মীদের আবেদন করতে বলা হলে ৯৬৭ জনের আবেদন জমা পরে দূতাবাসে।
এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে আবেদন করা ৯৬৭ জনের তালিকা থেকে মালিক পক্ষের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে ১৬১ জনের তালিকা দেশটির সরকারের কাছে পাঠালে তারা কর্মী ফরিয়ে আনতে অনুমোতি দেন।
এজন্য বাহরাইনের রাজা, ক্রাউন প্রিন্স, প্রধান মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রম মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচিত ১৬১ জনকে ই-ভিসায় আবেদন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিন্তু কর্মী নিজে তার আবেদন করতে পারবেন না। ই-ভিসার জন্য আবেদন করবেন নিয়োগকর্তা। আবেদনের পর ই-ভিসার রেফারেন্স নাম্বার দূতাবাসের ইমেইল ( mission.manama@mofa.gov.bd ) অথবা হোয়াটস অ্যাপ (+৯৭৩৩৩৩৭৫১৫৫) নাম্বারে পাঠাতে হবে। রেফারেন্স নাম্বার পাঠালে দূতাবাস কর্মীকে ১মাসের ভিজিট ভিসা প্রদানের জন্য বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে দূতাবাস।
কর্মীগণ বাহরাইনে আসার পর নিয়োগকর্তার আওতায় ভিজিট ভিসাকে ওয়ার্কিং ভিসায় পরিবর্তন করে ট্রান্সফার সিপিআর করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দূতাবাস ছাড়া কোন দালালের শরণাপন্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।