মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশি নিয়োগকারীদের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে মালয়েশিয়া মন্ত্রণালয়ের (সরকারের) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করলে বাংলাদেশি নিয়োগকারীদের নিষিদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
বুধবার (১লা মে) দেশটির সংবাদ মাধ্যম “মালয়েশিয়াকিনি” তে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালু করার বিষয়ে যখন ২ জুন (বৃহস্পতিবার) দুই দেশের কর্মকর্তা পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তখন বৈঠকের এক দিন আগেই এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী।
বাংলাদেশে মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করা কোনো প্রতিবাদের ব্যাপারে এম সারাভানান বলেন, “আমি ভয় পাই না। তারা যতই হুমকি দেবে, আমি ততই নিষিদ্ধ করব!”
এছাড়াও দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, সমঝোতা স্মারকে উভয় দেশের দায়িত্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যেখানে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা এবং বাংলাদেশের কর্মীদের পাশাপাশি উভয় দেশের বেসরকারী কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে প্রায় ৩ বছর বন্ধ থাকা মালয়েশিয়া শ্রম বাজার চালু করতে গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা সই হয় দুপক্ষের মধ্যে। তবে বিভিন্ন জটিলতায় দেশটিতে এখনো কর্মী প্রেরণ শুরু করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আজ রাতে ঢাকা সফরে আসেন দেশিটির মানবসম্পদ মন্ত্রী।
এর আগে ২৬ মে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ২০ মে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তা স্থগিত করা হয়। এরপর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ মে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। পরে সেই তারিখও চুড়ান্ত না করে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২ জুন।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মূলত কর্মকর্তা পর্যায়ের হয়ে থাকে। তবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের আমন্ত্রণে মালোয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের জন্য দেশটির শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে ফলপ্রসূ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন প্রবাস খাত বিশ্লেষকরা।