ইমিগ্রেশনের ভোগান্তি দূর করার লক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ৭ জুন থেকে চালু করা হবে ২৭টি ই-গেট। এর ফলে ই পাসপোর্টধারী যাত্রীরা খুব সহজেই এখন ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, স্বয়ংক্রিয় এই গেট চালু হলে বিদেশ থেকে আসা ও বিদেশগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় খুব কম সময় লাগবে। যাত্রীদের আর লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ইলেকট্রনিক গেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
জানা যায় ২০১৯ সালে বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হলেও তা চালু করা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ ব্যাপারে তাগিদ দিলে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ ই-গেট দ্রুত চালু করার লক্ষে কাজ শুরু করে।
পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, মূলত ইমিগ্রেশন পুলিশ ই-গেট পরিচালনায় কাজ করবে। এতদিন ই-পাসপোর্ট সার্ভার এবং ই-গেটের মধ্যে কোনো সংযুক্তি না থাকায় এই গেট চালু করা যায়নি। তবে বর্তমানে ইমিগ্রেশন পুলিশ এই সংযুক্তি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।
ই-গেটগুলো চালু হয়ে গেলে গেটের সঙ্গে সংযুক্ত করা একটি ক্যামেরা ই-পাসপোর্টের চিপ থেকে কর্মীর সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীকে শনাক্ত করবে। ই-পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ই-গেটগুলো যাত্রীদের চিহ্নিত করে দরজা খুলে দেবে , এতে করে যাত্রিদের ভোগান্তি কমে যাবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের মতে, ই- পাসপোর্ট তৈরী করা হয়েছে আলাদা একটি সিকুরিটি লেয়ার যুক্ত করে। ই- পাসপোর্টের দ্বিতীয় পেজে থাকা চিপে যাত্রীর তথ্য ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচারগুলো সংরক্ষিত থাকবে। সেখানে আরও থাকবে—পাসপোর্টধারীর ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও আইআরআইএস তথ্য।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ই গেট চালু করতে যাচ্ছে ।