ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হজের সময় সৌদি আরবে প্রয়োজনীয় ওষুধ বহনের নির্দেশিকা

Print Friendly, PDF & Email

হজের সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন অসুস্থতা কিংবা শারীরিক অস্বস্তির কারণে নিয়মিত সেবন করতে হয় এমন ঔষধ এবং আকস্মিক কোনো কারণে যেসকল ঔষধ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে সে সকল ঔষধ সাথে বহন করার নিয়মাবলী জানিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।

শনিবার (২৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মোহাম্মাদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখার নিয়মাবলী প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবে নির্ধারিত ওষুধ বহন করার ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মিত সেবনের জন্য ওষুধ বহন করার ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টেস সাথে রাখতে হবে। কেননা সঠিক প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ওষুধ বহন করা দেশটিতে অনুমোদিত নয়।

এজন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীর ডাক্তার দ্বারা জারি করা ছয় মাসেরও কম সময়ের মেডিকেল রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে। যেখানে প্রেসক্রিপশন ওষুধের সঠিক নাম, ডোজ, ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশাবলীসহ চিকিৎসা পরিকল্পনা ও চিকিৎসা সুপারিশ ডাক্তারের অফিসিয়াল সিলসহ ব্যবহারের সময়কাল উল্লেখ থাকতে হবে।

এক্ষত্রে যদি একজনের ঔষধ অন্য কাউকে বহন করতে হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি ছাড়পত্রের আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

হজের সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা-
অ্যান্টাসিড, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার ওষুধ: খাদ্যের হঠাৎ পরিবর্তন শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পেটের সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে। সুতরাং, এই অভূতপূর্ব অসুস্থতার জন্য ওষুধ বহন করা সর্বদা একটি ভাল ধারণা।

শ্বাসপ্রশ্বাসের ওষুধ: হজযাত্রীদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। যা সাধারণত অনেক মানুষের একত্রিত হওয়া কিংবা হাজার হাজার লোকের ভিড়ের কারণে ঘটে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার চেষ্টা করা ছাড়াও শ্বাসযন্ত্রের ওষুধও বহন করা ভালো।

ব্যথানাশক: হজযাত্রা ক্লান্তিকর এবং ক্লান্তিকর হতে থাকে। কারণ সেখানে প্রচুর হাঁটা-হাঁটি করা হয়ে থাকে। ফলে প্রায়ই পায়ে এবং শারীরে ব্যাথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর ব্যথা কমাতে সাথে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ রাখা ভালো।

ব্যান্ড এইডস: এটি প্রেসক্রিপশন ড্রাগ না হলেও হজের সময় এটা বহন করা খুবেই জরুরী। কেননা এবড়োখেবড়ো পথে দীর্ঘ দূরত্বে হাঁটতে গেলে যেকোনো কাটা-ছেড়া এবং স্ক্র্যাচের ঝুঁকির মুখে পরতে হতে পারে। এজন্য সবসময় সাথে ব্যান্ড এইডস বহন করা বুদ্ধিমানের কাজ।

বিশেষ ওষুধ: যদি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস বা হাঁপানির মতো কোনো বড় অসুখ থাকে তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে পুরো যাত্রায় খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সাথে আছে কিনা। এছাড়াও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হলে এমন ঔষধ সাথে রাখা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ্জ যাত্রীগণের প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকিয় ঔষধ হজ মৌসুম অর্থাৎ সৌদি আরব থাকাকালীন ৪০ দিনের জন্য নিতে হবে। এক্ষত্রে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সাথে রাখতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ নেয়া যাবে না বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া জর্দা, গুলসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সঙ্গে না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এবছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Tag :

হজের সময় সৌদি আরবে প্রয়োজনীয় ওষুধ বহনের নির্দেশিকা

আপডেট: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

হজের সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন অসুস্থতা কিংবা শারীরিক অস্বস্তির কারণে নিয়মিত সেবন করতে হয় এমন ঔষধ এবং আকস্মিক কোনো কারণে যেসকল ঔষধ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে সে সকল ঔষধ সাথে বহন করার নিয়মাবলী জানিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।

শনিবার (২৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মোহাম্মাদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখার নিয়মাবলী প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবে নির্ধারিত ওষুধ বহন করার ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মিত সেবনের জন্য ওষুধ বহন করার ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টেস সাথে রাখতে হবে। কেননা সঠিক প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ওষুধ বহন করা দেশটিতে অনুমোদিত নয়।

এজন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীর ডাক্তার দ্বারা জারি করা ছয় মাসেরও কম সময়ের মেডিকেল রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে। যেখানে প্রেসক্রিপশন ওষুধের সঠিক নাম, ডোজ, ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশাবলীসহ চিকিৎসা পরিকল্পনা ও চিকিৎসা সুপারিশ ডাক্তারের অফিসিয়াল সিলসহ ব্যবহারের সময়কাল উল্লেখ থাকতে হবে।

এক্ষত্রে যদি একজনের ঔষধ অন্য কাউকে বহন করতে হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি ছাড়পত্রের আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

হজের সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা-
অ্যান্টাসিড, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার ওষুধ: খাদ্যের হঠাৎ পরিবর্তন শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পেটের সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে। সুতরাং, এই অভূতপূর্ব অসুস্থতার জন্য ওষুধ বহন করা সর্বদা একটি ভাল ধারণা।

শ্বাসপ্রশ্বাসের ওষুধ: হজযাত্রীদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। যা সাধারণত অনেক মানুষের একত্রিত হওয়া কিংবা হাজার হাজার লোকের ভিড়ের কারণে ঘটে। সর্বোত্তম স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার চেষ্টা করা ছাড়াও শ্বাসযন্ত্রের ওষুধও বহন করা ভালো।

ব্যথানাশক: হজযাত্রা ক্লান্তিকর এবং ক্লান্তিকর হতে থাকে। কারণ সেখানে প্রচুর হাঁটা-হাঁটি করা হয়ে থাকে। ফলে প্রায়ই পায়ে এবং শারীরে ব্যাথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর ব্যথা কমাতে সাথে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ রাখা ভালো।

ব্যান্ড এইডস: এটি প্রেসক্রিপশন ড্রাগ না হলেও হজের সময় এটা বহন করা খুবেই জরুরী। কেননা এবড়োখেবড়ো পথে দীর্ঘ দূরত্বে হাঁটতে গেলে যেকোনো কাটা-ছেড়া এবং স্ক্র্যাচের ঝুঁকির মুখে পরতে হতে পারে। এজন্য সবসময় সাথে ব্যান্ড এইডস বহন করা বুদ্ধিমানের কাজ।

বিশেষ ওষুধ: যদি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস বা হাঁপানির মতো কোনো বড় অসুখ থাকে তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে পুরো যাত্রায় খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সাথে আছে কিনা। এছাড়াও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হলে এমন ঔষধ সাথে রাখা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ্জ যাত্রীগণের প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকিয় ঔষধ হজ মৌসুম অর্থাৎ সৌদি আরব থাকাকালীন ৪০ দিনের জন্য নিতে হবে। এক্ষত্রে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সাথে রাখতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ নেয়া যাবে না বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া জর্দা, গুলসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সঙ্গে না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এবছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।