মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক আবারো পিছিয়ে গেছে। ২৬ মে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ২০ মে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তা স্থগিত করা হয়। এরপর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ মে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। সেই তারিখও চুড়ান্ত না করে ২ জুন করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সোমবার বিকালে প্রবাস বার্তাকে জানান, “আজকে একটু আগে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২ জুন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর একদিন আগেই তিনি ঢাকায় আসবেন বলে জানিয়েছেন।”
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মূলত কর্মকর্তা পর্যায়ের হয়ে থাকে। আর দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী আসছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর আমন্ত্রণে।
ইমরান আহমদ জানান, “জানুয়ারির পর থেকে বেশ কয়েকবার তারিখ সেট করা হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে আবার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৬ মে যেই বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল সেটি পূর্বনির্ধারিত ছিল. কিন্তু আজকে (২৩ মে) বিকেলে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, তারা আগামী মাসের অর্থাৎ ১লা জুন বাংলাদেশে আসবে এবং ২ই জুন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বন্ধ শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত করতে হলে উভয় পক্ষকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। তানাহলে কোনো সল্যুশনে আসা যাবে না। তবে আমি আমার দেশের স্বার্থ রক্ষা অর্থাৎ কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করবো। এর মধ্যেই সমন্নয় করে যত দ্রুত সম্ভব বাজারটি উন্মুক্ত করার জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করবো।
এদিকে বৈঠকের তারিখ কেন বারবার পরিবর্তন হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, “তারিখ উনারা ( মালোয়েশিয়া পক্ষ) পরিবর্তন করছেন। এটা তাদের বিষয়। তাদের সুবিধা- অসুবিধা কিংবা সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য হয়ত তারা তারিখ পরিবর্তন করছেন। আমাদের কোনো সমস্যা থাকলে আমরাও তারিখ পরিবর্তন করতাম। তবে যেহেতু বাজারটি খোলার জন্য আমরা এক পা এগিয়ে আছি তাই আমরা এখনো কোনো তারিখ পরিবর্তন করিনি। যখনই আমাদের পক্ষ থেকে তারিখ দেয়া হয়েছে, সেটা জেনে-শুনে এবং বিবেচনা করেই তারিখ দেয়া হয়েছে।”
মত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “সবার সুবিধার জন্য যত তাড়াতাড়ি মার্কেট খুলে যায় আমি এতে রাজি আছি। আমরা আশা করছি এবার ভালো কিছু হবে ইনশা আল্লাহ।”