পরকীয়া সন্দেহে প্রবাসী স্ত্রী রেশমা’কে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই স্বামী নূর হোসেন। ঢাকা কেরানীগঞ্জে নিজের মেসবাড়িতে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিন্দা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রেশমার স্বজনদের ফোন দিয়ে হত্যার কথা নিজেই স্বীকার করেন নূর হোসেন। এক যুগ আগে ভালোবাসার সম্পর্কের পর বিয়ে হয় নূর হোসেন ও রেশমার।
তবে তাদের সংসারজীবন শুরুর পর থেকে চলছিল টানাপোড়েন। বেকার নূর সংসারের দায়িত্ব নিতে না পারায় সাত সদস্যের পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রেশমা। বিয়ের চার বছরের মাথায় পাড়ি জমান জর্ডানে।
গেল ৩০ এপ্রিল ছুটিতে দেশে আসেন স্ত্রী রেশমা। এসময় সন্দেহ থেকে প্রায়ই ঝগড়া হতো তাদের মাঝে। একপর্যায়ে রেশমা তার স্বামীর কাছে তালাক চান। তবে স্বামী নূর তাকে অন্য কারও সঙ্গে সংসার করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এমনটাই অভিযোগ রেশমার পরিবারের।
স্বজনরা বলছেন, রেশমা তালাক চাইলে স্বামী নূর হোসেন বলেন, ‘যদি আমার সঙ্গে সংসার না করো, অন্য কারো সঙ্গে সংসার করতে দেব না। প্রয়োজনে মাটিচাপা দিয়ে দেব। মীমাংসার কিছু নেই, সংসার করবা না, করার দরকারও নেই। আমি কোর্টে আত্মসমর্পণ করব।’
এগারো বছরের একটি সন্তান রয়েছে এই দম্পতির। এদিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত নূরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।