করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমায় বিমান যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিমান কর্তৃপক্ষ। আর এই সিদ্ধান্ত কর্যকর হয় ১৬মে (সোমবার) থেকে।
তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বিমান ও গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার সময়সীমা উল্টো বাড়িয়েছে ইতালির সরকার। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে।
ইতালিতে গেল দুই সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। একইসাথে মারা গেছেন ১১০ জন করে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে একই পথে হাটছে স্পেনও। স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যারোলিনা দারিয়াস নিশ্চিত করেছে যে তারাও বিমান যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধ শিগগিরি তুলে নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ফ্লাইট এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক ব্যাবহারের বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে।
ইইউভুক্ত দেশগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকায় ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি ও স্পেনে। তবে দেশ দুটি’র সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীরা জানান, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সিদ্ধান্তে মেনে চলতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ইতালীয় সরকারের সিদ্ধান্তে সঠিকভাবে পালন করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিরা।
এদিকে বিমান ও গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার ইতালির নিজস্ব গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি-ইএএসএ। অন্যদিকে, স্পেনে মাস্ক ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল ইসিডিসি।
ইউরোপের মধ্যে ইতালি ছিল সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত দেশ। তাই দেশটির সরকার ও সংক্রামক বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন খুব সতর্কতার সঙ্গে।