ইতালিতে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনজনিত জটিলতার কারণে বৈধ থেকে অবৈধ হওয়ার আশংকায় রয়েছে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি।
ইতালিতে বসবাস করছেন দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। যাদের অনেকেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। দেশটিতে আসার সময় দালালদের খপ্পরে পড়ে নাম-ঠিকানা এমনকি জন্মতারিখও পরিবর্তন করেন তারা। ফলে ইতালিয়ান ডকুমেন্টস হাতে পেলেও পাসপোর্টের অভাবে কিংবা পাসপোর্টের তথ্যে ভুল থাকায় অবৈধ হওয়ার আশংকায় রয়েছেন অসংখ্য ইতালিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি।
এদিকে পাসপোর্ট সংশোধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসে ২০২১ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত প্রায় ৮০০ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখনো প্রায় ১০ হাজার প্রবাসী আবেদন করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান জানান, বয়স সংশোধনের জন্য রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তবে পাসপোর্ট সংশোধনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, পাসপোর্টের বয়স সংশোধনের আবেদন গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে এরইমধ্যে দূতাবাস থেকে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও সম্প্রতি ইতালি সফরকালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনজনিত জটিলতা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দূতাবাস সব সময় প্রবাসীদের সেবার জন্য প্রস্তুত। তবে বয়সের ব্যাপারে কেউ যখন একটু বেশি অসত্য প্রকাশ করে, তখন আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এধরনের সংশোধনে দেশের ভাবমূর্তি অনেক ক্ষেত্রে ক্ষুন্ন হয় বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। তাই দালালের খপ্পরে পড়ে এমন কাজ না করার জন্য প্রবাসীদের সতর্ক করেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান।
এর আগে গেল ৪ এপ্রিল পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের দাবিতে রোম দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেছেন এসব অসহায় অভিবাসীরা। বর্তমানে তারা ইতালির বিভিন্ন হোম শেল্টারে অবস্থান করছেন। মানববন্ধন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপিও দেন তারা। তখন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে সেই স্মারকলিপিও গ্রহণ করা হয়েছিল।