ঢাকা , শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে ১২৩ ইপিএস কর্মী

Print Friendly, PDF & Email

 

২ বছর বন্ধ থাকার পর আরাবো কর্মী যাওয়া শুরু হলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার দক্ষিণ কোরিয়ায়।

সোমবার (৯ মে) সন্ধায় ১২৩ ইপিএস কর্মীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী জং কেনস উভয় দেশের কর্মকর্তারা।

কর্মীদের বিদায়কালে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “আজ বাংলাদেশি যে কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছে তা আমাদের জন্য বড় একটি সাফল্য। আমরা বিশ্বাস করি, সেখানে গিয়ে যদি আমরা আমাদের আচরণ ঠিক রাখি এবং ওখানকার সমাজের সঙ্গে একটু মিশে যাই তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা হবে না।”

এর আগে মন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার। এটিকে ধরে রাখতে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। তবে বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে যে সংখ্যক কর্মী যাচ্ছে এর পরিমান খুবেই সামান্য, এটা সামনে আরো বাড়াতে হবে। তবে আমরা আরো আশাবাদী যে, আমরা যা বলি তা যদি ঠিকমতো করতে পারি তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজার অটোমেটিকলি বাড়বে।”

এদিকে কর্মীদের গন্তব্য দেশে আইন ও নিয়মনীতি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, দিক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ খুবেই বন্ধুসুলভ এবং সাহায্য পরায়ণ। সুতরাং আপনারা সেদেশের আইন-কানুন ও নিয়মনীতি মেনে চলবেন। কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করবেন।”

অপরদিকে ২ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন ইপিএস কর্মীরা। কেননা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদের অনেকেই ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তবে চলতি বছরেই দেশটিতে আরো কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে ১২৩ ইপিএস কর্মী

আপডেট: ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
Print Friendly, PDF & Email

 

২ বছর বন্ধ থাকার পর আরাবো কর্মী যাওয়া শুরু হলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার দক্ষিণ কোরিয়ায়।

সোমবার (৯ মে) সন্ধায় ১২৩ ইপিএস কর্মীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী জং কেনস উভয় দেশের কর্মকর্তারা।

কর্মীদের বিদায়কালে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “আজ বাংলাদেশি যে কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছে তা আমাদের জন্য বড় একটি সাফল্য। আমরা বিশ্বাস করি, সেখানে গিয়ে যদি আমরা আমাদের আচরণ ঠিক রাখি এবং ওখানকার সমাজের সঙ্গে একটু মিশে যাই তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা হবে না।”

এর আগে মন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার। এটিকে ধরে রাখতে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। তবে বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে যে সংখ্যক কর্মী যাচ্ছে এর পরিমান খুবেই সামান্য, এটা সামনে আরো বাড়াতে হবে। তবে আমরা আরো আশাবাদী যে, আমরা যা বলি তা যদি ঠিকমতো করতে পারি তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজার অটোমেটিকলি বাড়বে।”

এদিকে কর্মীদের গন্তব্য দেশে আইন ও নিয়মনীতি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, দিক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ খুবেই বন্ধুসুলভ এবং সাহায্য পরায়ণ। সুতরাং আপনারা সেদেশের আইন-কানুন ও নিয়মনীতি মেনে চলবেন। কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করবেন।”

অপরদিকে ২ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন ইপিএস কর্মীরা। কেননা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদের অনেকেই ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তবে চলতি বছরেই দেশটিতে আরো কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।