মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমজীবী প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলন করেছেন, দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
৮ মে রবিবার কো-স্পন্সর ক্যামেরুণ হাইল্যান্ডের ভ্যাজেটেবল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ঈদ পূর্ণমিলন ও বৈশাখী আনন্দে মেতে ঊঠেন প্রবাসীরা।
বিকেল ৫ টায় ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের তিতিওয়াংসা হোটেলের বলরোমে ঈদ পূর্ণমিলন ও বৈশাখী উদযাপন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। কাউন্সিলর কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় আনন্দ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, ক্যামেরন হাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের মিনিষ্টার (লেবার) নাজমুস সাদাত সেলিম, ক্যামেরুণ হাইল্যান্ড ভ্যাজেটেবল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতু চাই কুক লিম, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের মালে ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতু সৈয়দ আব্দুল রহমান বিন সৈয়দ আব্দুল রশিদ, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ফ্লোরিকালচার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি: লি পেন ফু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন,” আপনারা সবাই অ্যান্বাসেডর। যার যার অবস্থান থেকে দেশের অর্থনৈতির চাকা সচল রাখছেন। দূতাবাসের সব কর্মকর্তা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। কর্মকর্তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”।
হাইকমিশনার বলেন, কুয়ালালামপুর থেকে দূর প্রদেশে আপনারা যারা বসবাস করছেন তাদের আর কুয়ালালামপুর হাইকমিশনে যেতে হবে না। দূতাবাসের ডিজিটালাইজেশন ও পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে । এ ছাড়া মহামারি করোনাকালের কঠিন সময়ে মালয়েশিয়া সরকারের বিধিনিষেধ মেনে প্রবাসীদের সর্বোচ্ছ সেবা দেওয়া হয়েছে। তখন সেবা দিতে গিয়ে হাই কমিশনের প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং একজন মৃত্যুবরন করেছেন। তারপরেও আমাদের প্রবাসীদের সেবা দিতে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা জীবন বাজি রেখে সেবা দিয়েছেন।ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের মত প্রতিটি রাজ্যে কর্মরত শ্রমজীবী প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলন আনন্দ উৎসব উদযাপন করা হবে বলেও জানান হাই কমিশনার।
নতুন শ্রমিক রিক্রুটমেন্ট এবং লিগেলাইজেশন প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে এবং প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে দেশটির সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছেন শ্রমজীবী প্রবাসীরা। এ বিষয়ে হাই কমিশনার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নতুন শ্রমিক রিক্রুটমেন্ট নিয়ে দুই দেশের সরকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ঘোষণা ছাড়া কারো সাথে পাসপোর্ট বা টাকা পয়সা লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন হাই কমিশনার।
অনুষ্টানে মালয়েশিয়ান অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারে বলে আমাদের আগ্রহ বাড়ছে। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের ব্যবসায়িরা বলেন, ‘বাংলাদেশিরা কঠোর পরিশ্রমী, প্রতিদিন ওভারটাইম করলেও সমস্যা হয় না। ফলে তুলনামূলক কম শ্রমিকই অনেক বেশি কাজ করতে পারে। এতে তারাও যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি আমরা মালিকরাও লাভবান হচ্ছি।’
আনন্দ অনুষ্টান শেষে শ্রমজীবী প্রবাসীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।