চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে রয়েছে ধারাবাহিক সফলতা খবর। ২০২১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এই ৯ মাসে বিদেশ গেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৮ জন নতুন কর্মী। আর শুধু মার্চেই বিদেশ গেছেন ১ লাখ ২০ হাজার কর্মী।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (‘বিএমইটি’র) তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে কর্মী গেছে ৯২ হাজার ৫৬৯ জন। আর জানুয়ারিতে গেছে এক লাখ নয় হাজার ৬৯৮ জন। এছাড়াও গেল বছরের নভেম্বরে বিদেশে কর্মী গেছে এক লাখ দুই হাজার ৮৬১ জন। আর পরের মাসেই এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জনে।
এদিকে, সারা বিশ্বে যখন করোনা মহামারীর প্রকোপ কমছে, তখন এর ফল পেতে শুরু করেছে জনশক্তি প্রেরণকারি দেশগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ৯ মাসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়া দেশের তালিকায় প্রথম অবস্থানে আছে সৌদি আরব।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে শুধু সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৯ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমান। দেশটিতে গেল ৯ মাসে কর্মী গিয়েছে ৭৭ হাজার ৫৮২ জন। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরতে গিয়েছে ৬৪ হাজার ৩৩৬ জন। এর পরের অবস্থান, সিঙ্গাপুরে গেছেন ২৯ হাজার ২৬ জন কর্মী।
কাতারে ১২ হাজার ৬১১ জন, জর্ডানে ১২ হাজার ১৩১ জন, কুয়েতে ৩ হাজার ৪২ জন, রোমানিয়ায় ২ হাজার ২৩৮ জন, মাল্টায় ১ হাজার ৮১ জন এবং মরিশাসে ৯৮৭ জন। এছাড়া গেল ৯ মাসে অন্যান্য দেশে কর্মী গিয়েছে ১৮ হাজার ৯৫২ জন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএমইটিতে আগের চেয়ে এখন স্বচ্ছতা বেড়েছে। কর্মকর্তাদের কাজের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা ভোগান্তি ছাড়াই পাচ্ছেন সেবা, ফলে বিদেশে পাঠাতে পারছেন বেশি সংখ্যক কর্মী।
ব্যবসায়িরা বলছেন, শিগগিরই মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানো শুরু হলে, চলতি অর্থবছরে ১১ থেকে ১২ লাখ নতুন কর্মীকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। যা হতে পারে ১২ মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড।