শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে চুড়ান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ-জেডব্লিউজি বৈঠকের জন্য মালয়েশিয়াকে চিঠি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। জেডব্লিউজি বৈঠক করার বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানকে বাংলাদেশের সম্মতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে ছুটি থাকায় সেদিন চিঠি পাঠানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার চিঠিটি মালয়েশিয়া মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর কথা।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদকে চিঠি দেন। সেই চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানাতে জাবাব দেয়া হয়। এতে বলা হয়, শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে মালয়েশিয়ার সাথে চুড়ান্ত বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সেই বৈঠক অনলাইনে করার বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়। শ্রমবাজার চালুর কার্যক্রম যেনো দ্রুত হয়, সেজন্য ভার্চুয়াল বৈঠকের পক্ষে নিজেদের আগ্রহের কথা জানানো হয় চিঠিতে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই বৈঠক করতে চায় বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রবাস বার্তাকে বলেন, শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে চুড়ান্ত বৈঠক করতে সম্মত বাংলাদেশ। এজন্য দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানকে চিঠি লিখেছেন তিনি। করোনার প্রভাব থাকায় যাওয়া-আসা সম্ভব না হলেও অনলাইনে বৈঠকের বিষয়ে মত দিয়েছেন ইমরান আহমদ। মন্ত্রী আশা করেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শ্রমাবাজার চালুর বিষয়টি চুড়ান্ত হতে পারে।
এদিকে, মালয়েশিয়াতে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসায় শ্রমবাজার চালু হলেও কর্মী যাওয়ার বিষয়টি বিলম্ব হতে পারে। যদিও চার ফেব্রুয়ারির পর লকডাউন আর না বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তান শ্রী ডা: নুর হিশাম আবদুল্লাহ।
২০১৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জিটুজি প্লাস পদ্ধতি। এর পর বেশ কয়েক দফা দেনদরবার করা হয় শ্রমবাজারটি চালুর জন্য। এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় সরকার পরিবর্তন ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চুড়ান্তের পথে থেকেও আটকে যায় আলোচনা। তবে এবার সব ঠিকঠাক এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।