মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের করোনার ব্যয় নিয়োগকর্তাকেই বহন করতে হবে। নিয়োগকর্তারা কোভিড-১৯ নির্ধারণসহ সমস্ত টিকাদান ব্যয় বহন করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভান।
এর আগে মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠকে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী খায়েরি জামাল উদ্দিনও বলেছেন অভিবাসী কর্মীদের করোনাভাইরাসের টিকা অগ্রাধিকার তালিকায় থাকতে হবে।
এদিকে মানব সম্পদমন্ত্রী বলনে, গতবছর কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হলে নিয়োগকর্তারা সাধারণ শ্রমিকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছিল।
এ বছরে আমরা এটা হতে দিবনা। শ্রমিক আইনে গৃহায়ণ ও সুযোগ-সুবিধা আইন ১৯৯০ এর ২৪ ধারার অধীনে ৪৪৬ নিয়োগকর্তারা অনুসরণ করতে হবে।
সারাভানন বলেন, মন্ত্রণালয় কর্মস্থলে কোভিড -১৯ এর বিস্তার রোধে কর্মক্ষেত্রে পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছে। ১ জানুয়ারী থেকে শ্রম বিভাগ, সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা (সকসো) এবং পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং টাস্ক ফোর্স নিয়োগকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের কর্মক্ষেত্রগুলি পরীক্ষায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। উদ্দেশ্য হলো এই বিপজ্জনক ব্যাধির বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মালিকদের সচেতনতা বাড়ানো।
মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ হাজার ৫৯৩ জন শনাক্তের কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে মালয়েশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৮ জনে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৭৮ জন।