বিদেশে অভিবাসী কর্মী যাওয়ার প্রবাহ কমে আসায় আগামি বছর রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২০: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবেদনে আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, করোনা অতিমারির কারনে এ বছর অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে সামনে বছর অভিবাসীদের অনেক কিছুর গতি প্রকৃতি বদল হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরে ৭১ দশমিক ৪৫ অভিবাসন কম হয়েছে। বছরে শুরুর তিন মাস অভিবাসী কর্মী বিদেশ যাওয়ার প্রবাহ ঠিক ছিল। পরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমে যায়।
রামরু বলছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যেতে বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমে গেছে সেক্ষেত্রে আগামী বছর রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে বলা হয়, করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৩শ ৩০ জন প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।