জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের শুরুতেই বৃষ্টিস্নাত সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও জর্ডানের প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
জর্ডান সরকার আরোপিত করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ পালন এবং নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় সেইসাথে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সহ প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা বীর শহীদদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তাঁরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার জন্য তাঁর আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জর্ডানের সকল বাংলাদেশিকে দেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি জর্ডান সরকারের আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানান। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্র যাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। বক্তব্য শেষে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সব শেষে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।