মালয়েশিয়ায় গত ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। রিকেলিব্রেশন নামে এই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক বৈধরণ নিবন্ধনে সরকার আগের মত কোন ভেন্ডর বা এজেন্ট নিয়োগ করেনি।
এবার সরাসরি দেশটির শ্রম ও মানব সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যদি কোন তৃতীয় পক্ষ, এজেন্ট বা দালাল শ্রমিকদের সাথে কোনরকম প্রতারণা বা জালিয়াতি করে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রনালয়।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় (কেএসএম) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রমিক নিয়োগে কোন ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হলে দেশটির বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থা জাতীয় সংবিধান ১৯৮১ সালের ২৪৬ এর ৭ ধারায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরাধ প্রমানিত হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদন্ড এবং ২ লাখ রিংগিত যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যাবস্থা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসী কর্মী রি-হায়ারিং প্রকল্প পরিচালিত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে দালাল ও এজেন্টদের কাছে টাকা ও পাসপোর্ট দিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী প্রতারনা ও জালিয়াতির শিকার হয়েছিল। এই প্রতারনার বিষয়টি দেশটির সরকার ও দূতাবাসে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ প্রতারক চক্র অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেওয়ার সময় কোন মানিরিসিট বা কোনো ডকুমেন্টস দেয়নি।