মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৯ তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হলেও চলমান নভেল করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদেশের সরকারের বিধিনিষেধ মেনে স্বল্পপরিসরে দূতাবাসে দিবসটি পালন করা হয়।
রবিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বক্তব্য পর্বে হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠনের পটভূমি এবং দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অস্থিতিশীল দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে যা বিশ্বে সমাদৃত ও প্রশংসিত।
তিনি আরো বলেন যে, দেশের ভৌত অবকাঠামো গঠন ও দূর্যোগকালীন মুহূর্তে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়া তিনি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাস ও কর্মকান্ডের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।