বৈধভাবে কর্মী পাঠানোর পরেও কর্মক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে অভিবাসী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা। তারা বলেন, সরকারের সকল নিয়ম-নীতি মেনে কর্মী পাঠানোর পরও কোন অভিযোগ আসলে মানবপাচার আইনে এজেন্সি মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে করে জনশক্তি প্রেরণ খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলেও মনে করেন তারা। এমনটি চলতে থাকলে ঊর্ধ্বগতির রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করেন এজেন্সি মালিকরা।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর পল্টনের চায়না টাউন এর হলরুমে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘অভিবাসী কর্মী প্রেরণের চলমান সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ।
তিনি বলেন, দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে। এর পেছনে মূল অবদান প্রবাসী কর্মীদের। আর এই কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। রিক্রুটিং এজেন্সি একমাত্র খাত, যেখান থেকে বছরে অন্তত ৭ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বেসরকারি অন্য কোন খাত দিয়ে যেটা সম্ভব নয়। তারপরও এই খাত সবসময় অবহেলিত। আর সম্প্রতি মানবপাচার আইনে হয়রানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এতে করে জনশক্তি প্রেরণ খাত হুমকির মুখে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন বায়রার সিনিয়র নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্ট বাংলাদেশ ( আটাব) সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম, হাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সোবহান হাসান ভুইয়া, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ নুরুল আমিন, বায়রার সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব আবুল বাশার, ফোরাব মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বায়রার যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, বায়রার অর্থ সচিব শওকত শিকদার, বায়রার কালচারাল সেক্রেটারি নাজমুল হোসেন, বায়রা তৃণমূল ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান খান, রাওয়াব একাংশের মহাসচিব মাহফুজুর রহমান, ফোরাবের যুগ্ম মহাসচিব মিয়া মোহাম্মদ উল্লাহসহ বায়রার সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জসিম আহমেদ- চেয়ারম্যান পারফেক্ট মেডিকেল সেন্টার, সহিদুল ইসলাম-স্বত্বাধিকার, রমনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, কেফায়েত উল্লাহ মামুন- যুগ্ন মহাসচিব তৃননূল ঐক্য ফ্রন্ট, মেহেরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন মধু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাজহারুল ইসলাম, ফজলুল হক, শাহাজাহান সাজু, মাসুদুল করিম।