মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের অবৈধভাবে সহযোগিতার দায়ে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও দালাল সহ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন।
দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং দূর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) এর ”স্টিং অপস সেল্ট” অভিযানে দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অপরাধে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা, এজেন্ট ও দালাল সহ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ২৭ জনই অভিবাসন কর্মকর্তা এবং বাকিরা হচ্ছে বিভিন্ন এজেন্ট ও শ্রমিকের মধ্যাস্থতাকারী দালাল। তারা সম্মিলিতভাবে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী করে এই দূর্নীতি করে আসছিল।
মঙ্গলবার (১৭নভেম্বর ) দেশটির সংবাদ মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টু ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিগ্রেশন ও দূর্নীতি দমন কমিশন এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির পুত্রাজায়া, সেলেঙ্গর, জোহর বাড়ু , সাবাহ এবং সারাওয়াক প্রদেশ থেকে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই যৌথ অভিযানের নাম ছিল “অপস সেল্ট”
এই সিন্ডিকেট এর দূর্নীতির বিষয়ে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া যে সমস্ত অভিবাসীরা অবৈধ হয়ে পড়েছেন বা বিভিন্ন কারনে দেশটিতে ব্ল্যাক লিষ্টেড হয়েছেন তারা এই সমস্যা থেকে বাচাঁর জন্য এজেন্ট ও দালালের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসারকে হাত করে মোটা অংকের টাকা দিতেন। তারপর কোন অভিবাসী ইমিগ্রেশন বিভাগে স্ব-শরীরে হাজির না হয়েই তাদের পাসপোর্ট এ আগমন ও বহির্গমণ ইমিগ্রেশন সিল বা স্টিকার লাগিয়ে নিতেন। এতে যেন বুঝা যায় যে তারা ব্ল্যাক লিষ্টে আছে। তারা সম্প্রতি মালয়েশিয়া ত্যাগ করে আবার মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছেন। এই কাজের জন্য তারা প্রত্যেক অভিবাসীর কাছ থেকে ৬ হাজার রিংগিত নিতেন।
এদিকে এমএসিসির পরিচালক (তদন্ত) নওরজলান মোহাম্মদ রাজালী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন তিনি।