করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে ইতিমধ্যে লকডাউন শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য বিদেশ ফেরত যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমানে দেশে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরের করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক না হওয়ার কারণে করোনা আক্রান্ত অনেক যাত্রী বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দর থেকে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হয়।
কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশে করোনা আক্রান্ত কোন যাত্রী প্রবেশ করলে নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমানবন্দরে দিয়ে যারা প্রবেশ করে এমনকি করোনা আক্রান্ত থাকে তাদের সরকারী খরচে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
তবে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণ যেন দেশে ছড়িয়ে পরতে না পারে সেজন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিমানবন্দরে আজকের সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন দুই একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে দেশে আসা যাত্রীদের করোনাভাইরাস পজেটিভ থাকলে তাদের যেন কোন রকম হয়রানির শিকার হতে না হয় সে বিষয়টিও দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান জানিয়েছেন বিদেশ ফেরত যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক হলে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়টি শক্তিশালী হবে। এক্ষেত্রে শুধু প্রজ্ঞাপন নয়, বিমানবন্দরে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাড়াতে হবে নার্স ও চিকিৎসক।