মালয়েশিয়ায় নিজ দেশি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে ১২ বাংলাদেশিকে আটক করছে পুলিশ। মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের সেবারাং পেরাইয়ের জালান আরা কুডাতে সবজি বাগানে কর্মরত বাংলাদেশির মৃতদেহ পাওয়া যায়। বুধবার ( ১০ জুন ) সকালে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ আবদুল লতিফ (৫৯)। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশির দেশের বাড়ি কোথায় তা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
সেবেরাং পেরাই উত্তর জেলা পুলিশ প্রধান (এসপিইউ) সহকারী কমিশনার নূরিকানে মোহাম্মদ নূর বলেছেন, আটককৃত বাংলাদেশিরা সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক পুলিশ তদন্তে যানা গেছে। যার কারণে বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার সহযোগিদের আটক করা হয়েছে। যাদের বয়স ২৫-৩০ বছর বয়সী।
পুলিশ আরো জানায়, নিহতের কপালে, বাম গালে মারাত্মক জখম এবং ডান হাঁটুতে ধারালো কোন ছুরি বা কোদাল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। লতিফের মরদেহ যেখানে পড়েছিল সেখান থেকে একটু দূরে গর্ত খননকারী একটি শাবল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওই এলাকার একজন মালী জানান, খুন হওয়া ব্যক্তিটি বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে পরিবারের জন্য টাকা পাঠানোর উদ্দেশ্যে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে বেতন আনতে মালিকের বাড়িতে গিয়েছিল। পরে মালিকের কাছ থেকে পাওয়া মালয়েশিয়ান ৩ হাজার রিঙ্গিতেরও বেশি পরিমাণ অর্থ নিয়ে বাসায় চলে যান। এর পরের দিন সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে, নিহত লতিফের ব্যক্তিগত ওষুধ, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, রিচার্জ কার্ড এবং ৪১৮ রিঙ্গিত নগদ অর্থ একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায় এই ঘটনাটি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক তদন্ত করা হচ্ছে। আটক ১২ জন বাংলাদেশির প্রত্যেককেই ৭ দিনের রিমান্ডের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছ পুলিশ।