প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ ফ্লাইট নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজেদের মতো করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রচার করছে। কেউ কেউ ট্রাভেল এজেন্সির নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে। এতে করে প্রবাসীরা প্রতারিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার ( ২১ মে ) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেজবুক পেজে বলা হয়, “সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন কোন ব্যক্তি বা সংস্থা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় বিমান পরিচালনার তথা বাংলাদেশে প্রেরণের কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে । সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তি থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, “মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সম্মানিত বাংলাদেশি ভাই ও বোনদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, COVID-19 এর প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ মুহূর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনায়) এবং ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়াদের (বিশেষ করে ট্যুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ) দেশে ফেরত প্রেরণের কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে উল্লিখিত দুটি সংস্থা ছাড়া অন্য কোন সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে এ জাতীয় কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।”
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রবাসীদের দেশে ফেরার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ফেজবুক পেজ, ওয়েবসাইট বা গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বাইরে কোন প্রচারণায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন প্রবাস বার্তাকে জানান, ” আমরা এখন পর্যন্ত প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে কোন বিশেষ ফ্লাইটের উদ্যোগ নেইনি। বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থার চিন্তাও আপাতত নেই। যে সকল প্রবাসী ফেরত আসছেন, তারা সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যবস্থাপনায় আসছে। আমরা চাই প্রবাসীরা ওখানেই থাকুক, কারণ করোনার পর আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তখন কাজে যোগ দিতে পারবেন কর্মীরা।”