আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: বছরব্যাপী নানা আয়োজন সামনে রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষের শুভ সূচনা করে।
স্থানীয় একটি হলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি থাকলেও সম্প্রতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এর কারণে সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে মালয়েশিয়ার সরকার যেকোনো ধরনের গণজমায়েত বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং আরোপ করেছে বিধি নিষেধ। বাংলাদেশ সরকারও করোনাভাইরাস এর প্রকোপ থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্যাপক জনসমাগম সম্পৃক্ত অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে।
এমন বাস্তবতায় প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের পুন:বিন্যস করেছে। ব্যাপক প্রস্তুতি সত্বেও করোনা ভাইরাসের কারণে দিনব্যাপী কর্মসূচি স্থগিত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান আঙ্গিকে মঙ্গলবার দিবসটি পালন করে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বিদায় নিলে সকলের অংশগ্রহণে বড় পরিসরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে এবং বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
দিবসের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সুরের মুর্ছনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতির পিতা ও তাঁর শহীদ পরিবারের সদস্যদের এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রী , পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে হাইকমিশনের ডিফেন্স এডভাইজার কমোডর মুশতাক আহমেদ পি এস সি, ডেপুটি হাইকমিশনার ও হেড অব চ্যান্সারি ওয়াহিদা আহমেদ, কাউন্সেলর লেবার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন।
হাইকমিশনার মহ শহীদুল ইসলাম কৈশোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংস্পর্শ পাবার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, ” বাঙালির সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যেমন অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, তেমনি জাতি গঠন ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক কাজ শুরু করেছিলেন। দুর্ভাগ্য বশত: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার ফলে বাংলাদেশ উন্নত হবার সে পথ থেকে বিচ্যুত হয়। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের আলোকে বাংলাদেশের সকল সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত।” তিনি জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠন ও জনসেবা নিশ্চিত করতে সকলকে অনুরোধ করেন।
লেবার কাউন্সেলর ২ মো হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো মশিউর রহমান তালুকদার,কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মো রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) তাহমিনা বেগম, প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন ও সেকেন্ড সেক্রেটারি (লেবার) ফরিদ আহমেদ এবং সকল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং কেক কাটা হয়।