প্রবাস বার্তা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে তূর্ণা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন গঠিত বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে তদন্ত প্রতিবেদনটি রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামানের কাছে জমা দেন তদন্ত কমিটি।
বিভাগীয় পর্যায়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে একাংশের অসম্পূর্ণ থাকায় গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় থাকলেও তদন্ত প্রতিবেদন ঠিক সময়ে জমা দেওয়া যায়নি।
শুক্রবার আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন ডিজির কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রেল মন্ত্রী ও ডিজি ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার ট্রেনচালক তাছের উদ্দিন ও সহকারী চালক অপু দে’কে দায়ী করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়েছে গার্ড আবদুর রহমানকে। দুই চালক ঘুমিয়ে ছিলেন, এ বিষয়ে কমিটি নিশ্চিত হয়েছে।
কুয়াশা ও মাটির স্তুপের জন্য স্টেশনের সিগন্যাল দেখতে পাননি বলে চালকরা যে দাবি করেছে, তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৬জন নিহত হয়েছে। তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়।
আহত প্রায় শতাধিক যাত্রীর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৬জনকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।