স্টাফ রিপোর্টার: পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র সিশেলসে কম খরচে কর্মী যাবে বাংলাদেশ থেকে। এ বিষয়ে সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
রবিবার ( ২৭ অক্টোবর ) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্হান মন্ত্রনালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রী বলেন, দেশটিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার কর্মী যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পক্ষে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন/সরকারি রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সিশেলস–এ কর্মী রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পাদন করবে। সিশেলস গমনেচ্ছু কর্মীগণ অন্যকোনো রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট কিংবা কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সিশেলস গমনের চেষ্টা না করা এবং কারও সাথে এ সংক্রান্ত কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার আহবান জানানো হয়।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসের রাজধানী ভিক্টোরিয়াতে সে দেশেবাংলাদেশী জনশক্তি প্রেরণ বিষয়ে ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে একটিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশ পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইমরানআহমদ, এমপি। সিশেলস সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনসিশেলস–এর এমল্পয়মেন্ট, ইমিগ্রেশন ও সিভিল স্ট্যাটাস মন্ত্রণালয়েরমাননীয় মন্ত্রী মিজ মারিয়াম তেলেমাক।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিশেলস সরকার বাংলাদেশ থেকেকর্মী নেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে। এরপর উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ একটিসুশৃংখল ও কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় সিশেলস এ কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে উভয়দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে। তারইধারাবাহিকতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সিশেলস এ বাংলাদেশী কর্মীনিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাটি (Moratorium) উঠে গেল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় দেশ আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, চুক্তিটিস্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের মধ্যে শ্রম বাজারসহ ব্যবসা–বাণিজ্যের ক্ষেত্রেওদ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সফরকালে সিশেলসে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও চুক্তিটিস্বাক্ষরের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সিশেলস এ প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত রয়েছেন।নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ কর্মী কাজ করে থাকেন। এছাড়া হোটেল, টুরিজম, স্বাস্থ্য সেবা, হাউজ কিপিং, কুক, ভিলা এটেন্ডডেন্ট, কৃষি খামার, পোল্টি খামার প্রভৃতি খাতেও বাংলাদেশী কর্মীগণ কর্মরত আছেন।ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্টিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং টুরিজম খাতেবাংলাদেশী কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে প্রবাসীবাংলাদেশী কর্মীরাই সিশেলসের বৈদেশিক শ্রম বাজারের অন্যতম প্রধানঅংশীদার। চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্জন ও সুবিধাসমূহ:
সিশেলস গমনেচ্ছু কর্মীদের যা যা প্রয়োজন হবে:চুক্তিপত্র (employment contract)–এ উলিখিত চাকুরির মেয়াদ অনুসারেবৈধ (valid) পাসপোর্ট; পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট; বিএমইটি কর্তৃকইস্যুকৃত ছাড়পত্র/স্মার্ট কার্ড; সিশেলস এর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ইস্যুকৃত জিওপি (Gainful Occupational Permit), যা বাংলাদেশে অবস্থিত সিশেলস কনস্যুলেট কর্তৃক এনডোর্স করা হবে; এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট, যা সিশেলস এর এমপ্লয়মেন্ট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক সত্যায়িত; আনুষংগিক অন্যান্য কাগজপত্র
উল্লিখিত চুক্তির আওতায় স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে দক্ষ ও যোগ্য কর্মীগণ সিশেলস যেতে পারবেন।