ফখরুল ইসলাম জাপান থেকে: জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী ডা. আরিফ হোসেন। জাপানে গেল ৬১ বছরের ইতিহাস পাল্টে এই প্রথম কোন অ-জাপানিজকে এই গৌরবোজ্জ্বল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাপানিজ সোসাইটি ফর ইনহেরিটেড মেটাবোলিক ডিজিজের ৬১তম বার্ষিক সম্মেলনে লাইসোসোমাল ডিজিজ এর মেকানিজম এবং চিকিৎসা আবিষ্কারের জন্য ডা.আরিফ হোসেনকে সেরা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত করে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
জাপানিজ সোসাইটি ফর ইনহেরিটেড মেটাবোলিক ডিজিজ সংস্থাটি প্রতিবছর সেরা জাপানিজ তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটির এ বছরের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচনে উঠে আসে বাংলাদেশী ডা.আরিফ হোসেনের নাম। যা জাপান মেডিকেল সাইন্সের ৬১ বছরের ইতিহাসে একটি স্মরণযোগ্য ঘটনা।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জন্মগ্রহণ করা ড. আরিফ হোসেন বর্তমানে জাপানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনিয়র রিসার্চার হিসেবে কাজ করছেন। গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীর ভাটিয়া-পাড়া এলাকার এক সাধরণ পরিবারে ছেলে এই আরিফ হোসেন। যিনি ছিলেন ১১ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।
এমন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় গণমাধ্যমকে দেয়া তার অভিব্যক্তিতে জানান, আমি অনেক আনন্দিত। এটা আমার এবং আমার দেশের জন্য একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।
ছোটকাল থেকেই খুব স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা আরিফ হোসেনের লেখাপড়া চলছিল গ্রামের স্কুলে। অনেক চড়াই উতরাই পার করে ভর্তি হন মিরপুর বাংলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে এমবিবিএস পাশ করে একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান জাপানে। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধারে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে সেখান থেকেই শিশু নিউরো মেটাবলিক রোগের ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেন তিনি।
বাংলাদেশী তরুণ ডা.আরিফ হোসেনের এমন শ্রেষ্ঠত্বে তিনি যেমন আলোকিত হয়েছেন ঠিক তেমনি তার এই সফলতায় বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।