আব্দুল হালিম নিহন, প্রবাস বার্তা: টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কৈয়ামধু গ্রামের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো.আক্কাস আলী (২৮) কে তিন মাস নিখোঁজের পর ঢাকার গুলশান-২ থেকে উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ (দক্ষিণ)।
গত ২৫জুন টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কৈয়ামধু গ্রামের মো. জাবেদ আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. আক্কাস আলী তার নিজ বাড়িতে আসেন। ২৬ জুন সৌদি থেকে নিয়ে আশা বন্ধুর মালামাল দেয়ার জন্য সখিপুর থেকে টাঙ্গাইল সদর তারটিয়া ভাতকুড়া গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে যান। এরপরই নিখোঁজ হন তিনি।
এরপর ২৭ জুন এ ব্যাপারে অপহৃতের বাবা টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি জিডি করেন। ডায়েরি নং ১৩৪০। জিডি করলেও এই বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার পুলিশের ছিলনা তেমন কোন তৎপরতা। হচ্ছে, হবে, দেখছি, এভাবে করে চলে যায় তিন মাস।
তিন মাস নিখোঁজ সৌদি প্রবাসী আক্কাসের কোন সন্ধান যখন পুলিশ দিতে পারেননি তখন নিখোঁজের পরিবার মামলা হস্তান্তর করেন টাঙ্গাইল ডিবির কাছে। ভিকটিমের নিখোঁজের বিষয়টি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হওয়ায় মামলাটি ঢাকা রেঞ্জ মনিটরিং সেলের আওতাভূক্ত হলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মামলাটির তদন্তভার ডিবির একজন দক্ষ কর্মকর্তার উপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার জন্য টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত আক্কাস আলীকে জীবিত অবস্থায় ঢাকা গুলশান-২ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার করা হলেও আক্কাস স্বাভাবিক অবস্তায় নেই আগের মতন । এই তিন মাসে তার উপর চালানো হয়েছে কঠিন নির্যাতন। এমনকি সে কারো সাথে কথাও বলতে পারছেননা বলে জানান তার পরিবার। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
পরিবারে সুত্রে জানা যায়, অপহরণকারীরা আক্কাসের পায়ের নখ তুলে ফেলেছে । তাকে তার দিয়ে পেটানো হতো প্রতিদিন । খাবার দেওয়া হতো দুইদিন পর পর একবার । অন্ধকার ঘরে রাখা হয়েছিল তাকে । এমনকি তার শরীরে বেশ কয়েক স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে তার নিখোঁজের পর ভিসা নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রিয়াদে তার ব্যবসার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় তার পরিবার।