প্রবাস বার্তা, বিশেষ প্রতিবেদন: সৌদি ভিসা-ফি জনপ্রতি ২ হাজার রিয়াল বা ৪৪ হাজার টাকা থেকে ৮৪ শতাংশ কমিয়ে ৩০০ রিয়াল বা ৭ হাজার টাকা করা হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজধানী ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স- ‘হারকার এইচ বিন শাহ ইয়াহ’ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যাতে সহজেই সৌদিতে আসতে পারে সে ব্যাপারে রাজকীয় সৌদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কার্যত গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই নতুন ভিসা-ফি কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকরাও পাচ্ছেন এই সুবিধা’।
হজ ছাড়াও ভিজিট ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণ করেন কয়েক লাখ বাংলাদেশী, আত্মীয় স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ, ওমরা কিংবা ব্যবসায়িক কাজে সেখানে যান অনেকে। এজন্য জনপ্রতি সৌদি ভিসা-ফি ২ হাজার রিয়াল থেকে ৮৪ শতাংশ কমিয়ে করা হয়েছে ৩০০ রিয়াল।
শুধু ভিজিট ভিসা নয় এখন সাধারণ ভিসাও মিলছে, এমনকি তিনশ রিয়ালে ৯৬ ঘণ্টার জন্য মিলবে সৌদির ট্রানজিট ভিসা।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, সৌদি সরকারের ‘২০৩০’ একটি ভিশন রয়েছে। যার অংশ হিসেবে মানুষকে উন্নত সেবা দেয়া এবং ভিসা পদ্ধতি কিভাবে আরও সহজ করা যায় তা নিয়ে কাজ করা’।
এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি অনেক হজ্বযাত্রীর ইমিগ্রেশন হয় ঢাকায়। এ ব্যাপারে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা হারকার এইচ বলেন, ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের নাগরিকরা পাচ্ছে এই সুবিধা। এবং আগামীতেও বহাল থাকবে এটি। সফল হয়েছে এই পদ্ধতি। আশা করছি আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের সকল হজ যাত্রী এই সুবিধা পাবে’।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের কূটনৈতিক বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো উল্লেখ করে বলেন, সামনের দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে কাজ করছে দুই দেশ।