স্টাফ রিপোর্টারঃ সৌদি আরবের পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দেশে ফিরতে হয়েছে আরো ১৬০ বাংলাদেশিকে। আর এ নিয়ে গত তিনদিনে দেশে ফিরলেন মোট ৩৮৯ জন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি।
যদিও দেশ ফেরত এই প্রবাসীদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করছেন কাজের বৈধ অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও সে দেশের পুলিশ ধরে জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে তাদেরকে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১.২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে এই ১৬০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন সৌদি পুলিশ।
আবু বক্কর। গ্রামের বাড়ি সিলেট, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আট মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি দিন পরিবর্তনের জন্য কিন্তু গত রাতে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকেও। তিনি বলেন, ‘কাজের বৈধ অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও সে দেশের পুলিশ তাদের ধরে জোর করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর এ বিষয়ে দূতাবাসের কাছে সহযোগিতা চাইলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
আগের দিনের মতই গতকালও দেশে ফেরা কর্মীদেরকে বিমানবন্দরের ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ী পৌছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল বলেন, সাড়ে চার হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করার দু মাসের মাথায় রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। বায়জিদ পটুয়াখালী, আবু সাইদ মানিকগঞ্জ, নাসিম মাদারীপুর, জামাল কুমিল্লা, মিজান মুন্সিগঞ্জ, টিপু সুলতান বি বাড়িয়া, সিরাজ মাদারীপুর জহুরুল কুষ্টিয়াসহ ১৬০ বাংলাদেশীর সবার এমন অভিযোগ। তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে জেলখানাতে কিছুদিন রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি।
এসময় কর্মীরা আরো বলেন, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি থেকে ফিরতে হয়েছে।সুতরাং সরকারের পক্ষ থেকে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এই নিয়ে বড় কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।