আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নতুন করে কর্মী নিয়োগের যে স্থগিতাদেশ ছিলো তা খুব শীঘ্রই প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। পুনরায় বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করবে মালয়েশিয়া। এমনটিই জানিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রী এম. কুলা সেগারান।
রষ্ট্রিীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা ও দিষ্টার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন মানব সম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেছেন,”আমি আশা করি আমরা এক অথবা দুই মাসের মধ্যে পর্যালোচনাটি শেষ করতে পারব যা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ পুনরায় শুরু করা যায়।”
মানব সম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশের ফলে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রধান শিল্প খাত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি (রোপন) ও নির্মাণ শিল্প। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
গত বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের পূর্বের পদ্ধতি (এসপিপিএ) সিস্টেম বাতিল করে দিয়ে ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা: মাহথীর মোহাম্মদ। এসপিপিএ পদ্ধতিতে পূর্ববর্তী সরকার অনুমোদিত মানব সম্পদ সরবরাহকারী কেবল ১০টি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারতো। সে পদ্ধতিতে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য দিয়ে ছিলেন ডা: মাহথীর মোহাম্মদ।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় চার লাখ বৈধ বাংলাদেশী শ্রম দিচ্ছে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ গত সপ্তাহে কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদেরকে বলেছিলেন, আগামী মাসে মালয়েশিয়ার সাথে নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছে বাংলাদেশ। সে সময় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন নতুন পদ্ধতিটি স্বচ্ছ হবে।”যেহেতু আগের পদ্ধতিটি বাতিল করা হয়েছে তাই আমরা নতুন পদ্ধতি তৈরি করনে কাজ করছি। অগাস্ট মাসেই সমাধান হতে পারে বলে যোগ করেন ইমরান আহমেদ।